করোনায় মৃত্যু বাড়ছে গুজরাতে, সুরাতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত ১৪ মাসের শিশু
সুরাতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত ১৪ মাসের শিশু
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ দেশে হু হু করে সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো গুজরাতের পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বৃহস্পতিবার রাতে সুরাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ১৪ দিনের এক শিশুপুত্র।
ওই
শিশুটি
ভাইরাস
নিয়েই
গত
১
এপ্রিল
জন্মেছিল,
তার
মায়েরও
কোভিড–১৯
হয়
বলে
জানা
গিয়েছে।
ডায়মন্ড
হাসপাতালের
পক্ষ
থেকে
এক
বিবৃতিতে
বলা
হয়েছে
যে
শিশুটির
মাকে
যখন
এক
হাসপাতাল
থেকে
অন্য
হাসপাতালে
স্থানান্তর
করা
হয়,
তখড়
নবজাতককে
ইন্টেনসিভ
ট্রিটমেন্টে
রাখা
হয়েছিল
এবং
তার
অবস্থার
যখন
অবনতি
হতে
শুরু
করল
সেই
সময়
তাকে
রেমডেসিভির
ইঞ্জেকশন
দেওয়া
হয়।
হাসপাতালের
পক্ষ
থেকে
জানানো
হয়
যে
শিশুটিকে
ভেন্টিলেটর
সাপোর্টে
রাখা
হয়েছে।
সুরাতের
প্রাক্তন
মেয়র
জগদীশ
প্যাটেল,
যিনি
সম্প্রতি
কোভিড–১৯–থেকে
সুস্থ
হয়ে
উঠেছেন,
তিনি
শিশুটির
চিকিৎসার
জন্য
প্লাজমা
দান
করেন।
কিন্তু
তাও
শেষরক্ষা
হয়নি।
বৃহস্পতিবারই
ওই
শিশুটি
মারা
যায়।
এমনিতেই রাজ্যে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত গোপন করে চলেছে গুজরাত সরকার। যদিও শ্মশানগুলিতে দেখা যাচ্ছে অন্য দৃশ্য। সুরাতের শ্মশান ঘাটে মৃতদেহের চাপ কমানোর জন্য শহরের তিনটে প্রধান শ্মশানের সীমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শেষকৃত্যের জন্য নতুন পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শহরে কোভিডে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেখে পুরনিগম আরও তিনটে শ্মশানকে ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে, আহমেদাবাদ, ভদোদরা ও রাজকোটের মতো প্রধান শহরে করোনায় মৃতদের দেহের ভিড়ে নাজেহাল হচ্ছে শ্মশানগুলি। এইসব জায়গাতেও ক্রমে ভিড় বাড়ছে কোভিড দেহের। যদিও সরকার রাজ্যে কোভিডে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'আইসিএমআরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, একাধিক রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে বিশেষজ্ঞ কমিটি এই জাতীয় মৃত্যুর প্রাথমিক ও গৌণ কারণগুলি স্থির করেন। কমিটি যদি সনাক্ত করেন যে কোনও করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হৃদরোগে হয়েছে, তবে তা কোভিডে মৃত্যু বলে গণ্য হবে না। একই পদ্ধতি গোটা দেশজুড়ে অনুসরণ করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার সুরাতে ১,৫৫১ নতুন করোনা কেস সনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।