রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ! প্রায় ১৩০০০ স্কুলের চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ! প্রায় ১৩০০০ স্কুলের চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এসএসসি এবং মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের নিয়োগেও। প্রাথমিক এবং এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে দুর্নীতির অভিযোগ যে বিজেপি(BJP) শাসিত রাজ্যেও রয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (Narendra Modi) পাঠানো চিঠি থেকেই পরিষ্কার। কর্নাটকের (Karnataka) অন্তত ১৩ হাজার স্কুলের (school) প্রতিনিধিত্বকারী দুটি সমিতির তরফে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে বাসবরাজ বোম্বাই (Basavaraj Bommai) সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘুষের অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রীকে
চিঠি
দিয়েছে
রাজ্যের
প্রাইমারি
অ্যান্ড
সেকেন্ডারি
স্কুলের
অ্যাসোসিয়েটেড
ম্যানেজমেন্টস
অ্যান্ড
রেডিস্টার্ড
অ্যান্ড
এইডেড
প্রাইভেট
স্কুল
ম্যানেজমেন্ট
অ্যাসোসিয়েশন।
তারা
অভিযোগ
করেছে
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলির
স্বীকৃতি
শংসাপত্র
দেওয়ার
জন্য
রাজ্যের
শিক্ষা
বিভাগ
ঘুষ
নিচ্ছে।
চিঠিতে
লেখা
হয়েছে,
অবৈজ্ঞানিক,
অযৌক্তিক,
বৈষম্যমূলক
এবং
অসম্মতিমূলক
নিয়ম
প্রয়োগ
করা
হচ্ছে
অনুদানহীন
প্রাইভেট
স্কুলগুলিতে।
সেখানেই
ব্যাপক
দুর্নীতি
চলছে
বলে
অভিযোগ
করা
হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
অ্যাসোসিয়েশনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশের কাছে এব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের করা হলেও, সেব্যাপারে নজর দেওয়া হয়নি। অ্যাসোসিয়েশনগুলির তরফে এজন্য শিক্ষামন্ত্রী নাগেশের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে।
শিক্ষার বাণিজ্যিকরণের অভিযোগ
অ্যাসোসিয়েশনগুলির তরফে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর পুরো পরিস্থিতি শোনার, বোঝায় কিংবা সমস্যার সমাধান করার কোনও আগ্রহ নেই। পাশাপাশি বিজেপির দুই মন্ত্রীকে নিশানা করে বলা হয়েছে, তাঁরা আক্ষরিক অর্থে বাজেট স্কুলগুলির ক্ষতি করেছেন। তাঁরে বেশি বিনিয়োহকারীকে অনুমতি দিয়ে শিক্ষার বাণিজ্যিকরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে অ্যাসোসিয়েশনগুলি। যার জেরে শিশুদের শিক্ষার জন্য অভিভাবকদের অনেক বেশি টাকা দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গেলেও সরকার নির্ভারিত পাঠ্যপুস্তক এখনও বিদ্যালয়গুলিতে পৌঁছয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
তদন্ত করার আহ্বান
অ্যাসোসিয়েশনগুলির তরফে আরও অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর কঠোর বিধি শিথিল করে যাতে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলিতে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের বোধা না বাড়ে তার জন্য নতুন বিধি তৈরির কোনও উদ্যোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অ্যাসোসিয়েশনগুলি অভিযোগ খতিয়ে দেখে এব্যাপারে তদন্ত করার আহ্বানও জানিয়েছে।