১৩০ জন তৃণমূল বিধায়ক এক্ষুণি দলবদলে তৈরি, বলছে বিজেপি
কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর: বিজেপিতে যোগ দিতে তৈরি তৃণমূল কংগ্রেসের ১৩০ জন বিধায়ক! শাসক দলের কোন্দলে বীতশ্রদ্ধ হয়ে এঁরা পা বাড়িয়ে তৈরি। এমন দাবি করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার।
রাখঢাক না করে অসীমবাবু বলেছেন, "ওদের অন্তত ১৩০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এঁরা বিজেপিতে আসতে চান। এটা ভালো খবর বটে, আবার খারাপও।"
কেন ভালো খবর, আবার একই সঙ্গে খারাপও, তা ব্যাখ্যা করেছেন অসীমবাবু। তিনি বলেন, "ভালো খবর কারণ মানুষ জাগছে। বিজেপই ভবিষ্যতে বিকল্প এবং বিজেপির উত্থান অবশ্যম্ভাবী, এটা বোঝা যাচ্ছে। আর খারাপ খবর কারণ এই সুযোগে তৃণমূলের অন্দরে থাকা সমাজবিরোধীরাও বিজেপি ঢুকতে চেষ্টা করবে।" তবে তিনি দাবি করেছেন যে, বেনোজল যাতে ঢুকতে না পারে, সেই জন্য বিজেপি সতর্ক রয়েছে।
অসীম সরকারের দাবি, যাঁরা বিজেপি আসতে চাইছেন, তাঁদের অনেকে দর কষাকষি করছেন। দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিজেপিতে আসতে হলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে আসাই বাঞ্ছনীয়।
প্রসঙ্গত, এই ১৩০ জন কে কে, তা নিয়ে অবশ্য বিজেপি নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে। শুধু শোনা যাচ্ছে, প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর বিজেপিতে আসতে তৈরি। মুর্শিদাবাদের এই নেতার সঙ্গে ভুঁইফোঁড় ইন্দ্রনীল সেনের বিবাদ বেধেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য ইন্দ্রনীলবাবু লোকসভা ভোটে বহরমপুর আসনে হেরে গেলেও দলে গুরুত্ব হারাননি। ইন্দ্রনীলের দাপটে কোণঠাসা হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ২০১৫ সালে পুরসভা ভোটের পরও যদি পরিস্থিতি না বদলায়, তা হলে তিনি শিবির বদল করতে তৈরি।
যদিও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সির মতো তৃণমূল নেতারা বলছেন, দলবদলের খবর ভুল। তৃণমূলের একজন বিধায়কও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে যাবেন না।