মুম্বই থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে রুদ্ধশ্বাস এনকাউন্টার, নিকেশ ১৩ মাওবাদী
মুম্বই শহর থেকে প্রায় ৯৩৬.৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মহারাষ্ট্রের গাড়চিরৌলি। এদিন সেই গাড়চিরৌলির জঙ্গলেই এক তাবড় অপারেশনে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের এই অভিযান চলাকালীন মাওবাদীদের তরফে আসে গুলি। চলে পাল্টা গুলি। দুইপক্ষের সংঘর্ষে এদিন ১৩ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক খবরে জানা যায়। পরে মৃতের সংখ্যা ১৫ হয়েছে বলে খবর। মাওবাদী স্কোয়াড্রেনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শুক্রবার ভোর রাতে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মহারাষ্ট্রের গাড়চিরৌলিতে এই রুদ্ধশ্বাস এনকাউন্টার শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত বহু মাওবাদীর খোঁজে চলছে সেখানে তল্লাশি। এই লড়াইয়ের একদিকে ছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ অন্য়দিকে মাওবাদীরা। বেশ কিছু সূত্র মারফৎ এলাকায় মাওবাদী থাকার খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে পুলিশ। সঙ্গে ছিল সি-৬০ কমান্ডাররা। শুরু হয়ে যায় রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত। অন্যদিকে, মাওবদীরা এলাকায় পুলিশ দেখতে পেয়েই গুলি নিক্ষেপ শুরু করে।
মনে করা হচ্ছে এই ঘটনাট মাওবাদীদের অনেক উঁচু তলার ক্যাডারের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সেভাবে বিশদ তথ্য উঠে আসেনি। নিরাপত্তাবাহিনী মনে করছে বহু মাওবাদী সম্ভবত এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। এদিন ভোররাতে অন্তত ১ ঘণ্টা এই লড়াই চলে। জানা গিয়েছে , এক ঘণ্টা ধরে তুমুল গুলির লড়াইয়ের পর জঙ্গলের গভীরে ঢুকে যেতে থাকে মাওবাদীরা। একচুল জমি না ছেড়ে ধাওয়া করে পুলিশ। এরপর থেকে চলছে সার্চ অপারেশন।
এর আগে, দেশের ৪ রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটের আলোড়নের মাঝে ছত্তিশগড়ে ২২ জওয়ানের রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধে শহিদ হওয়ার ঘটনা কার্যত গোটা দেশে চাঞ্চল্য তৈরি করে। ২২ জওয়ানের মৃত্যু ছাড়াও একজনের নিখোঁজ থাকার খবরও আসে। জানা যায় মর্মান্তিকভাবে এক জওয়ানের দেহাংশ কেটে দেয় মাওবাদীরা। এদিকে, ঘটনা ঘিরে বেশ কয়েকটি তথ্য উঠে আসতে শুরু করে ছত্তিশগড়ের বুকে। পরবর্তীকালে অপহৃত জওয়ানকে ছেড়ে দে মাওবাদীরা। জানা যায়, সেই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মাওবাদী নেতা হিদমা।