বিগড়ে গেলেন উত্তর পূর্বের সাংসদরা! নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল 'নতুন' প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির ১২ জন অবিজেপি সাংসদ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিলেন উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির ১২ জন অবিজেপি সাংসদ। তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিল পাশ হলে সেখানকার আদিবাসীরা বাস্তুচ্যুত হবেন। সেই জন্য উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে এই বিলের বাইরে রাখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
সিএবির বিরোধিতায় উত্তরপূর্বের সাংসদরা
এই সাংসদদের বেশিরভাগ কংগ্রেসের বলে জানা গিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, এখানকার জনসংগঠনগুলিও এই বিলের বিরোধিতা করছে। তালিকায় লোকসভা ছাড়াও রাজ্যসভার সাংসদরাও রয়েছেন। শিলং-এর সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পালা এই চিঠির ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। অসমের বড়পেটার সাংসদ আব্দুল খালেক বলেছেন, উত্তর পূর্বের মানুষ এই বিলের কড়া বিরোধিতা করছেন। এই তালিকায় স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অন্যরা হলেন, অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ মুকুট মিথি এবং অসমের নওগাঁর সাংসদ প্রদ্যোৎ বরদলই। ভিনসেন্ট এইচ পালা জানিয়েছেন, এই তালিকায় অসম, মেঘালয়, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম এবং সিকিমের সাংসদরা রয়েছেন।
ক্ষতি করবে আদিবাসীদের
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ১২ জন সাংসদ দাবি করেছেন, এই বিল পাশ হয়ে গেলে, তা উত্তরপূর্বের আদিবাসীদের ক্ষতি করবে। তাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণও হবে এই বিল।
তালিকায় নেই বিজেপির সাংসদরা
বিলের বিরোধিতা করা সাংসদদের তালিকায় নেই বিজেপির কোনও সাংসদ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তর পূর্বে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা প্রায় ১৫ জন। তবে দলের থেকে মনিপুরের সাংসদ রাজকুমার রঞ্জন সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে অনুরোধ করেছেন, এই বিল থেকে উত্তর পূর্বকে বাদ দিতে।
১৯৫৫ সালের আইন সংশোধন করতে চায় সরকার
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করতে চায় কেন্দ্র। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বুদ্ধিস্ট, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সরকার। ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আসা সেইসব দেশের ধর্মীয় সংখ্য়ালঘু মানুষদের জন্য এই বিল।