বাংলাদেশে নির্বাচনে লাগামছাড়া হিংসা, নিহত ১২
এদিন ৬৯ জেলার ১৪৭টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলে ভোটপর্ব। জেলায় তবু ভোটারদের কিছুটা উপস্থিতি চোখে পড়েছে। কিন্তু, খোদ ঢাকায় ভোটদানের হার ছিল নগণ্য। এখানকার এস কে এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের সামনে ভোট চলাকালীনই সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আবদুল্লাপুর মালেকাবানু উচ্চবিদ্যালয়ের বুথে অন্তত ২৫টি বোমা পড়ে। বিস্ফোরণ হয় মীরপুরেও। দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে।
প্রসঙ্গত, এদিন হরতাল ডেকেছিল বিএনপি। কিছু জায়গায় বিএনপি কর্মীরা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। ১৪৭টি আসনে ভোট হলেও এর আগে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে প্রার্থীরা। নাশকতা, রিগিংয়ের অভিযোগে অন্তত ১৩৯টি বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই বুথগুলিতে পরে ভোটে নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হিংসার জেরে পিরোজপুরে মারা যান এক আওয়ামি লিগ নেতা। নীলফামারী ও রংপুরে মারা গিয়েছেন মোট চারজন। এছাড়া ফেনী, লালমনিরহাট, লক্ষ্মীপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজশাহী ইত্যাদি জায়গা থেকে হিংসায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজশাহীতে বুথে বোমা মেরে পালানোর সময় পুলিশের হাতে দু'জন ধরা পড়ে। সীতাকুণ্ডে মুখোশ পরে বুথে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
ভোট শেষে বিএনপি-র মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, এই নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে। তাই মানুষ ভোট দিতে উৎসাহ দেখাননি।