নরেন্দ্র মোদীকে খুনের চেষ্টা সহ ভারতে নাশকতার কান্ডারী আবু জিন্দাল সহ ১২ দোষী সাব্যস্ত
মুম্বই, ২৮ জুলাই : ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় অন্যতম ষড়যন্ত্রী আবু জিন্দাল সহ ১২ জনকে ঔরঙ্গাবাদ অস্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল 'মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট' আইনের অন্তর্ভূক্ত আদালত। [ভারতের শীর্ষ আমলাদের ছল করে পাকিস্তানে আটকে রেখে মুম্বই হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা]
আদালত এদিন সাদা ঘোষণা করতে গিয়ে জানিয়েছে, লস্কর জঙ্গি আবু জিন্দালদের এই ঘটনার নেপথ্যে বড় চক্রান্ত ছিল। ভারতে নাশকতার ছক কষা ছাড়াও ২০০৬ সালে তৎকালীন গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আরএসএস নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়াতেও খুনের ছক কষা হয়েছিল। [২৬ নভেম্বর ২০০৮ মুম্বই হামলায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ হয়েছিল কোথায়]
এসবের পিছনে অপরাধীদের উদ্দেশ্য ছিল, ২০০২ গোধরা কাণ্ডের বদলা নেওয়া। সেজন্যই হামলার ছক কষা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় থাকা ২২ জন অভিযুক্তের মধ্যে এদিন ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৮ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এছাড়া একজন পলাতক ও একজন সাক্ষী হয়েছে। [ঠিক কীভাবে ২৬ নভেম্বর ২০০৮-এ মুম্বই হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা]
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ৮ মে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার আধিকারিকেরা ধাওয়া করে একটি গাড়িকে ধরে ফেলে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং গাড়িতে ৬টি একে ৪৭ রাইফেল, ৩২০০টি তাজা কার্তুজ, ৪৩ কেজি আরডিএক্স ও ৫০টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়। তবে আবু জুন্দাল ওরফে জাবিউদ্দিন আনসারি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়। [১৯৯৩ থেকে ২০১৫ : মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী]
আবু জুন্দাল এরপরে বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে চলে যায়। এবং লস্কর ই তৈবার হয়ে কাজ করতে থাকে। পরে ২০১২ সালের জুন মাসে সৌদি আরব থেকে প্রত্যর্পণ করে আনা হয় আবু জুন্দালকে। তারপর থেকে বিচার চলছিল। এদিন রায় ঘোষণা করল বিশেষ আদালত।