শপিং মলের একটি ঘর, চলে ১১৪ টি সংস্থা! এও এক রেকর্ড বটে
হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকার এক মলে হানা দিয়ে দেখা গিয়েছে একটি মাত্র ঘর থেকে ১১৪টি কোম্পানি চালানো হত। এর মধ্যে বেশির ভাগই ভূয়ো বা শেল কোম্পানি।
অনেকে জায়গার অভাবে নিজের সংস্থা খুলতে পারেন না। আর হায়দরাবাদের এক শপিংমলে হানা দিয়ে একটি ঘর থেকে কর্পোরেট অ্য়াফেয়ার্স দপ্তরের আধিকারিকরা সন্ধান পেলেন ১১৪টি সংস্থার। যার মধ্যে প্রায় ১০০টিই ভূয়ো সংস্থা বা সেল কোম্পানি বলে অনুমান করছেন তাঁরা।
বুধবার হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকায় এক ঝাঁ চকচকে শপিংমলে হানা দেন। সেখানকার একটি ঘরে হানা দিয়ে তাঁরা দেখএন ওই একটি ঘর থেকেই ১১৪টি সংস্থা চলে। এরমধ্যে অন্তত ৫০টি সংস্থার কোনও ব্যবসা নেই। সংস্থাগুলির প্রায় প্রত্যেকটিই ক্ষতিতে চলছে। একেকটির বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ দেখানো হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১৫ কোটি টাকা করে।
তদন্তকারী কর্তাদের অনুমান একেকটি সংস্থা থেকে অপর সংস্থাগুলিতে টাকা ট্রান্সফার করা হত। বেশ কয়েকটি সংস্থা গড়াই হয়েছে এভাবে টাকা সার্কুলেট করার জন্যই বলেও অনুমান করেন তাঁরা। একেকটি সংস্থার হাতে কিন্তু কৃষিজমির মতো অ্যাসেটও রয়েছে।
এই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যক্তি। তাঁরা সবাই সম্পর্কিত বলেই জানা গিয়েছে। এঁদের একেকজন ২৫ থেকে ৩০ টি সংস্থার ডিরেক্টর হয়ে বসে ছিলেন। ভারতে আইন অনুযায়ী একজন ২০টির বেশি সংস্থার ডিরেক্টর হতে পারেন না।
সবকটি সংস্থারই তহবিলের দেখাশোনা করত এসআরএসআর অ্যাডভাইসরি সার্ভিস নামে একটিই ফার্ম। এই সংস্থাগুলির মধ্যে হিল কাউন্টু বলে একটি সংস্থাও রয়েছে। এটি আগে মায়তাস নামে পরিচিত ছিল। এই সংস্থাটি সত্যম সংস্থার মালিক বি রামালিঙ্গ রাজুর পুত্রের সংস্থা।
দিল্লির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক থেকেই হায়দরাবাদে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির কর্তারা জানিয়েছিলেন, ওই ঘরটি খেরে ২৫টির বেশি সংস্থা চলে। তাই ঘটনাটা কি তা দেখার জন্য হায়দরাবাদের কর্তাদের ওই স্থানে যাওয়ার জন্য বলা হয়। তাতেই এই ১১৪টি সংস্থার সন্ধান পাওয়া গেল। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, সব নথি খতিয়ে দেখে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।