ফের হোটেলকাণ্ডের দিকে এগোচ্ছে কর্ণাটকের রাজনীতি, পদত্যাগী বিধায়করা উড়ে গেলেন মুম্বই
আবার সেই হোটেলকাণ্ড। কর্নাটকের জোট সরকারের পদত্যাগী বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল মুম্বইয়ের হোটেলে। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল গতবছরে সরকার গঠনের আগের পর্যায়ে।
আবার সেই হোটেলকাণ্ড। কর্নাটকের জোট সরকারের পদত্যাগী বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল মুম্বইয়ের হোটেলে। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল গতবছরে সরকার গঠনের আগের পর্যায়ে। তেমনটাই ঘটছে এবারও। যাতে কোনও বিধায়ক বিজেপির ফাঁদে পা দিতে না পারেন সেকারণেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কারণ কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের ১১ বিধায়কের পদত্যাগের পর যেভাবে বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাতে ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা চলবেই তা আগাম আঁচ করতে পেরেছে কংগ্রেস।
সরকারের এই চরম সংকটজনক পরিস্থিতিতে আবার মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছে। আগামী কাল রবিবার তাঁর আসার কথা। তার আগে বিজেপি সরকার ফেলার সবরম প্রচেষ্টা চালাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ১১৬টি আসন নিয়ে জোট সরকার গড়েছে কংগ্রেস-জেডিএস। ২২৪ আসনের বিধানসফা আসেনর মধ্যে ১১৩টি আসন থাকলেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে যায় যেকোনও দল।
সেকারণেই বিজেপি একা ১০৫টি আসন পেয়েও সরকার গঠনের জন্য সরকার গঠনের মতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে পারেনি। সেই সুযোগ নিয়েই জোট সরকার গড়ে কংগ্রেস-জেডিএস। কিন্তু তার পরেও একাধিকবার সরকার ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটে কংগ্রেস এবং জেডিএসের বিপুল পরাজয় জোট সরকার ফেলার জন্য আবারও মরিয়া হয়ে উঠেছিল বিজেপি। তলে তলে দল ভাঙানির প্রক্রিয়া চলছিলই। সেকারণে প্রথমে যখন কংগ্রেসের দুই বিধায়ক পদত্যাগ করেছিলেন তখন ভীষণভাবে নজরদারি চালিয়েছে কর্নাটক বিজেপি।
তার কয়েকদিনের মধ্যেই আরও ১১ বিধায়কের পদত্যাগ যে অকারণে ঘটেনি সেটা বুঝতে বাকি নেই কংগ্রেসের। ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে পদত্যাগী বিধায়কদের মুম্বইয়ের হোটেলে এক প্রকার নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। চার্টার্ড বিমানে তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।