জেদের কাছে হার মানল বয়স, ১০৫ বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করলেন ভাগীরথি আম্মা
জেদের কাছে হার মানল বয়স, ১০৫ বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করলেন ভাগীরথি আম্মা
স্বপ্ন পূরণের জেদ থাকলে বয়স যে বাধা হয় না সেটা প্রমাণ করলেন কেরলেন ভাগীরথি আম্মা। ১০৫ বছর বয়সে সাফল্যের সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করলেন তিনি। তাঁর হাতে সেই পরীক্ষার সংশাপত্র তুলেদেন কোল্লামের কেরল লিটারেসি মিশনের ডিরেক্টর পিএস শ্রীকালা।
স্বপ্ন
পূরণ
করলেন
১০৫
বছরের
বৃদ্ধা
৬
সন্তান
আর
১৬
জন
নাতিনাতনি
নিয়ে
ভরা
সংসার
বৃদ্ধার।
তবুও
কোথায়
যেন
একটা
অপ্রাপ্তি
তাঁকে
তাড়া
করে
বেড়াত।
মনে
হত
শৈশবের
পড়শোনাটা
এখন
পূরণ
করতে
পারলে
ভাল
হত।
পড়াশোনার
প্রতি
এই
অদম্য
আগ্রহের
জোরে
১০৫
বছর
বসয়ে
চতুর্থ
শ্রেণির
পরীক্ষা
দেওয়ার
সিদ্ধান্ত
নেন
তিনি।
কেরলের
পারাকুলামের
বাসিন্দা
ভাগীরথি
আম্মার
এই
স্বপ্ন
পূরণে
এগিয়ে
আসে
কেরল
লিটারেসি
মিশন।
পরীক্ষা
হয়েছিল
চারটি
বিষয়ে
চারটি
বিষয়ে
পরীক্ষা
দিয়েছিলেন
ভাগীরথি
আম্মা।
ইংরেজি,
অঙ্ক,
মালায়লম
এবং
আমরা
ও
আমাদের
চারপাশ।
মোট
২৭৫
নম্বরের
পরীক্ষা
নেওয়া
হয়।
তাতে
২০৫
পেয়েছেন
ভাগীরথি
আম্মা।
অঙ্ক
হয়েছিল
৭৫
নম্বরে।
তাতে
পুরো
৭৫
নম্বরই
পেয়েছেন
১০৫
বছরের
বৃদ্ধা।
মালায়লমে
৭৫
নম্বরে
৫০,
ইংরেজিতে
৫০
নম্বরে
৩০
এবং
আমরা
ও
আমাদের
চারপাশ
নামক
বিষয়ে
৭৫
নম্বরের
মধ্যে
৫০
পেয়েছেন
তিনি।
লিখতে
অসুবিধা
হওয়ার
কারণে
তিনটি
প্রশ্নপত্রের
উত্তর
তিনি
তিন
দিনে
লিখে
শেষ
করেছিলেন।
স্কুল
ছেড়েছিলেন
৯
বছর
বয়সে
ভাগীরথি
আম্মা
যখন
তৃতীয়
শ্রেণিতে
পড়তেন
তখনই
পড়াশোনা
ছেড়ে
দিতে
বাধ্য
হয়েছিলেন।
তাঁর
বয়স
তখন
৯
বছর।
মা
মারা
যাওয়ার
পর
ছোট
ভাইবোনেদের
দেখাশোনা
করার
জন্য
পড়া
ছাড়তে
হয়েছিল
তাঁকে।
কিন্তু
পড়াশোনা
করার
আগ্রহ
কখনও
কমেনি।
কেরলের
সাক্ষরতা
অভিযানে
উদ্যোগে
সেই
ইচ্ছে
পূরণ
হল
ভাগীরথি
আম্মার।