সিবিআই হেফাজতে থাকা ৪৫ কোটির ১০৩ কেজি সোনা গায়েব, অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
সিবিআই হেফাজতে থাকা ৪৫ কোটির ১০৩ কেজি সোনা গায়েব
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই, যাদের হাতে রয়েছে দেশের সব জায়গায় তদন্ত করার অধিকার, তাদের এরকম লজ্জার মুখে হয়ত কোনওদিনই পড়তে হয়নি। খোদ সিবিআই হেফাজত থেকে গায়েব হয়ে গেল প্রায় ৪৫ কোটি টাকার ১০৩ কেজিরও বেশি সোনা। যা নিয়ে অস্বস্ততি রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার ওপর আবার মাদ্রাস হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবি–সিআইডিকে, যা আরও অসম্মানের বিষয় হয়ে উঠেছে সিবিআইয়ের কাছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল নাগাদ সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই সোনা বাজেয়াপ্ত করে নিজেদের সুরক্ষিত হেফাজতে রেখে দিয়েছিল। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সিবিআইকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সব ক্ষেত্র থেকে।
২০১২ সালে সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছিল
খোওয়া যাওয়া স্বর্ণ আসলে ২০১২ সালে সিবিআইয়ে বাজেয়াপ্ত করা ৪০০.৫ কেজির সোনার বাঁট ও গয়নার অংশ। যা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করে চেন্নাইয়ের সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেডের অফিসে তল্লাশি চালানোর সময়। এই সংস্থা বিদেশে সোনা-রূপো আমদানি করত বলে জানা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে প্রচুর সোনা আমদানির অভিযোগ ওঠে এবং সেই সময় সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে চারশো কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করে। যা সিবিআইয়ের লক ও সিলের অন্তর্গত এই রাখা ছিল সুরানার সিন্দুক ও ভল্টে। সিবিআই জানিয়েছে, সিবিআইয়ের মামলার জন্য সুরানার পক্ষ থেকে এই সিন্দুক ও ভল্টের ৭২টি চাবি হস্তান্তর করা হয়েছিল চেন্নাইয়ের প্রিন্সিপ্যাল বিশেষ আদালতের কাছে।
গত বছর ডিসেম্বরে এই ঘটনাটি সিবিআই জানতে পারে
২০১২ সালের পর দীর্ঘদিন এই বিপুল পরিমাণ সোনা আদৌও ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা সিবিআই বা অন্য কোনও এজেন্সি করেনি। তবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ন্যাশনাল কোম্পানির আইন ট্রাইব্যুনাল ওই সোনা সুরানা কর্পোরেশনের ঋণ শোধ করার জন্য এসবিআই-সহ ছটি ব্যাঙ্কের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সামনে সিবিআই ভল্ট খুলে দেখে অর্ধেক সোনা নেই, ১০৩ কেজি সোনা কম পড়েছে।
সিবিআইয়ের দাবি
সিবিআই দাবি করেছে যে বাজেয়াপ্ত চলাকালীন সব সোনার বারগুলি একসঙ্গে ওজন করা হয়েছিল কিন্তু তা লিক্যুডেটরের কাছে, নিজেদের মধে ঋণ বোঝাপড়ার জন্য নিয়োগ করা হয়, তাঁকে হস্তান্তর করার সময় সুরানা ও এসবিআইয়ের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয় এবং বারগুলি পৃথকভাবে ওজন করা হয় এবং সে সময়ই অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হতে পারে।
সিবিআইয়ের দাবি খারিজ
সিবিআইয়ের এই দাবি খারিজ করে বিচারপতি প্রকাশ নির্দেশ দেন যে এসপি পদাধিকারির নেতৃত্বে সিবি-সিআইডি ছয় মাসের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত সম্পূর্ণ করবে। সিবিআইই বিচারপতিকে জানিয়েছিল যে এই মামলার তদন্ত স্থানীয় পুলিশ করলে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সম্মানের বিষয় হয়ে উঠবে। বিচারপতি প্রকাশ এ ব্যাপারে কড়াভাবে বলেন, ‘আইন এ জাতীয় অনুমানকে অনুমোদন দেয় না। সমস্ত পুলিশ সদস্যকে বিশ্বাস করতে হবে।'
কৃষি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের পক্ষে সওয়াল! প্রতিবাদী কৃষকদের কোন বার্তা মোদীর