বিদেশে ১,০৩৮ কোটি কালো টাকা স্থানান্তর, সিবিআইয়ের নজরে চেন্নাইয়ের ৪৮ টি সংস্থা
বিদেশে ১,০৩৮ কোটি কালো টাকা স্থানান্তর, সিবিআইয়ের নজরে চেন্নাইয়ের ৪৮ সংস্থা
নতুন বছরের শুরুতেই সিবিআই অর্থ তছরুপের মামলা দায়ের করল বেশ কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে। সোমবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ২০১৪–১৫ সালে হংকংয়ে ১,০৩৮ কোটির কালো টাকা স্থানান্তরের অভিযোগে সিবিআই ৩ জন ব্যক্তি, সরকারি ব্যাঙ্কের ৩ অজ্ঞাত পরিচয় কর্মকর্তা ও ৪৮টি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
ভুয়ো সংস্থা খুলে বসেছিল চেন্নাইয়ে
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে ওই তিন ব্যক্তি হলেন মহম্মদ ইব্রামসা জনি, জিন্টা মিধার এবং নিজামুদ্দিন। যে ৪৮ সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই ৩ জানুয়ারি এফআইআর দায়ের করেছে, সেগুলি চেন্নাইয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে যে এই সংস্থাগুলির বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই এবং তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে বিদেশি পণ্য আমদানি ও ভারতীয় পর্যটকদের বিদেশ ভ্রমণ করানো হয়। যদিও এমন কোনও ব্যবসাই তাদের ছিল না। সিবিআই জানিয়েছে, এই প্রতারণায় সহযোগিতা করার জন্য ব্যাঙ্ক কর্মকর্তাদের মোটা টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে যে ৪৮টি সংস্থার ৫১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব।আঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ মাইসোরে (এখন সিবিআই)। এফআইআরে উল্লেখ রয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ১,০৩৮.৩৪ কোটি টাকা বিদেশে স্থানান্তর করা হয়।
৫১টি অ্যাকাউন্ট দিয়ে বিদেশে অর্থ স্থানান্তর হত
এফআইআর অনুযায়ী, ‘৫১টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে, ২৪টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত পণ্য আমদানির অগ্রিম টাকা দেওয়ার নামে, আমেরিকান ডলারে যা ৪৮৮ কোটিরও বেশি টাকা। অন্য ২৭টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত হত ভারতীয় পর্যটকদের বিদেশ ভ্রমণের নাম করে আমেরিকান ডলারে ৫৪৯ কোটিরও বেশি টাকা বিদেশে যেত।' সিবিআই জানিয়েছে যে অভিযুক্তরা এবং সংস্থাদের পক্ষ থেকে ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সংস্থার শংসাপত্র, ৩৫টি সংস্থার আমদানি-রফতানির চেন্নাইয়ের বৈদেশিক বাণিজ্যের ডিরেক্টর জেনারেলের শংসাপত্র, কেওয়াইসি নিয়মের সব কাগজপত্র জমা দিয়েছিল। যদিও সিবিআইয়ের তদন্তে ধরা পড়েছে যে ২৪টি সংস্থার মধ্যে মাত্র ১০টি সংস্থা খুব অল্প পরিমাণে পণ্য আমদানি করত। তবে যে পণ্য আমদানি হত এবং তার মূল্যের সঙ্গে কোনওভাবেই মিল খুঁজে পায়নি সিবিআই।
ব্যাঙ্কের ভূমিকা
সিবিআই ব্যাঙ্ক কর্মকর্তাদের ভূমিকা বলতে গিয়ে জানিয়েছে যে যে অর্থ ব্যাঙ্ক থেকে বিদেশে স্থানান্তর হত সেই হিসাবে তারা কমিশন পেত এবং তারা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে সক্রিয় রাখত। এফআইআর অনুযায়ী, এটা স্পষ্ট যে ব্যাঙ্ক কর্মকর্তাদের বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়ে কর্তৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ ছিল এবং তাদের ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জারি করা আদেশটি অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং যথাযথ যত্ন সহকারে অনুসরণ করতে হয়েছিল। সিবিআই জানিয়েছে, অধিকাংশ অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছিল ২০১৫ সালের মধ্য সময়ে।
দিল্লিতে ফের ক্ষমতায় ফিরতে পারে আপ, সমীক্ষায় বিজেপির পথে কাঁটা