পেশ ক্যাগের রিপোর্ট! মানুষ-হাতির দ্বন্দ্বে বিড়ম্বনায় মেঘালয় সরকার
পাঁচ বছরে মেঘালয়ে মানুষ এবং হাতির দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১০ হাজার। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জনের। একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে ফসলের। তথ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের।
পাঁচ বছরে মেঘালয়ে মানুষ এবং হাতির দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১০ হাজার। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জনের। একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে ফসলের। তথ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের।
রাজ্যে প্রায় ১৮০০ হাতির বাস। আর গারো হিল এলাকায় দুই তৃতীয়াংশের ওপর দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের দেওয়া তথ্য বিধানসভায় পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা। ২০১৭-র মার্চ পর্যন্ত ওই রিপোর্টে মানুষ ও হাতির ৯৬২২ টি দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। যাতে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২২ জন আাহত হয়েছেন। ৪০০৯ হেক্টরের ফসল নষ্ট হয়েছে।
ক্যাগের রিপোর্টে ২০১২ থেকে ২০১৭-র মধ্যে গারো হিল এলাকায় ৬৫০০ টি ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বলপকরম ন্যাশনাল পার্কও। অন্যদিকে, খাসি হিল এলাকায় হাতির হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৫০০ টি।
হাতির হামলার ঘটনা কমাতে ২০০১-এ প্রোজেক্ট এলিফ্যান্টের অধীনে সাউথ গারো হিল জেলার প্রায় ৩৫০০ বর্গ কিমি এলাকাকে এলিফ্যান্ট রিজার্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০৮-এর জুনে খাসি হিল এবং রি ভই জেলার ১৩৩১ বর্গ কিমি এলাকাকে এলিফ্যান্ট রিজার্ভ করার কথা বলা হয়। যদিও তা এখনও কার্যকরী হয়নি।
ক্যাগের তরফে মেঘালয় সরকারকে শালাং অঞ্চলে বন্যপ্রাণ ধ্বংসের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সিএজি রিপোর্টে জানানো হয়েছে সারা দেশে ৮৮টি এলিফ্যান্ট করিডরের মধ্যে ছটি রয়েছে মেঘালয়ে।