প্রতিরক্ষায় ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগে সবুজ সঙ্কেত, এর পর রেলের পালা
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এতদিন ২৬ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বারবার চাইলেও তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি ঠেকিয়ে রেখেছিলেন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ। ক্ষমতায় এসেই বিষয়টিতে সবুজ সঙ্কেত দিতে চেয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করে ক্যাবিনেট। প্রস্তাবটি যায় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে। তিনি তৎক্ষণাৎ এতে সবুজ সঙ্কেত দেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার খবরটির সত্যতা স্বীকার করে। সরকারের দাবি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এলে কয়েকটি সুবিধা হবে। প্রথমত, এখন যেমন অস্ত্রশস্ত্র হাতে পেতে সেনাবাহিনীর অনেক সময় লাগে, সেটা লাগবে না। দ্বিতীয়ত, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশি কোম্পানিগুলিকে টিকে থাকতে হবে। ফলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণগত মান বাড়বে। তৃতীয়ত, বিদেশি কোম্পানিগুলি এ দেশে কারখানা তৈরি করবে। ফলে কর্মসংস্থান হবে। চতুর্থত, এ দেশেই উন্নত মানের অস্ত্র তৈরি হলে আমদানির খরচ কমবে।
এদিকে, শুধু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রেই নয়, রেলওয়ে, পরিকাঠামো এবং নির্মাণ শিল্পেও ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিজেপি বিনিয়োগ চায় কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও সরকারের অন্দরে রেলে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আপত্তি আছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাইছেন, এ ব্যাপারে একটি ঐকমত্যে পৌঁছতে। ঐকমত্য হয়ে গেলে এই ক্ষেত্রগুলিতেও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে চাইছেন, জুলাই মাসের বাজেটে এ নিয়ে একগুচ্ছ নীতি ঘোষণা করতে।
ওয়াকিবহাল মহলের খবর, এই ক্ষেত্রগুলিতে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টিতে ছাড়পত্র দেওয়ার পর ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র ইত্যাদিতেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে। বামপন্থী ইউনিয়নগুলি এ ব্যাপারে গভীর অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে।