চরম ঠান্ডা থেকে মুক্তি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীরা পেলেন মোদীর বিশেষ উপহার
চরম ঠান্ডা থেকে মুক্তি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পেল মোদীর বিশেষ উপহার
উত্তরপ্রদেশের শীত মানেই কনকনে ঠান্ডা। আর সেখানকার সবচেয়ে অন্যতম বিখ্যাত ধর্মস্থান কাশি বিশ্বনাথ। এমন বিখ্যাত মন্দিরের পূজারী এবং মন্দির কর্মীদের মন্দির চত্বরে হাঁটতে হয় খালি পায়ে। এই ঠান্ডার সময়ে যা কষ্টকর। সহায় হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ১০০ জোড়া পাটের জুতো পাঠিয়ে দিয়েছেন পুরোহিত ও কর্মীদের জন্য।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে চত্বরে যতক্ষণ থাকতে হয় ততক্ষণ পুরোহিতদের থাকতে হয় খালি পায়েই। কোনওভাবেই চামড়ার জুতো পড়া সম্ভব নয়। সমস্যা জানতে পারেন নমো। পাঠিয়ে দিয়েছেন পাটের জুতো।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে লড়াই আশি বনাম কুড়ির, যোগীর মন্তব্যে মহাবিতর্ক
মন্দিরে পাটের তৈরি জুতো পরতে কোনও সমস্যা নেই। তাই মন্দিরের পুরোহিত, সেবাইত, সাফাই কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ১০০জোড়া পাটের জুতো উপহার দিয়েছেন তিনি। ফলে এখন আর প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে মন্দির চত্বরে খালি পায়ে হাঁটতে হবে না। কমবে সমস্যা।
ইতিমধ্যেই ১০০ জোড়া জুতো তুলে দেওয়া হয়েছে সবার হাতে। জুতো পেয়ে খুশি মন্দিরের পুরোহিত, সেবাইত, সাফাই কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরা। বিভিন্ন প্রকারের জুতো তৈরি করা হয়েছে। জুতোগুলি দেখতেও ভিন্ন। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত প্রধানমন্ত্রী। এই মন্দিরের প্রায়ই কিছু না কিছু করেই থাকেন তিনি। এই সমস্যার কথা জানতে পেরেই পাটের জুতো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি , বিশ্বনাথ মন্দিরের জন্য বিশেষ করিডোর প্রকল্পের ফেজ ওয়ানের উদ্বোধন করেন তিনি। এর সাহায্যে খুব সহজেই বিশ্বনাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন প্রবীণরা। এই করিডোর দিয়ে সরাসরি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ঢুকে পড়তে পারবেন সমস্ত ভক্ত। ফেজ ওয়ানের প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৩৩৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মন্দির কমপ্লেক্স ও সংলগ্ন আরও নতুন ২৩টি ভবনের।উদ্বোধন করা হয়েছে আগেই। বিখ্যাত মন্দির নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর এবার সেই মন্দিরের সবার কথা মাথায় রেখে দিলেন পাটের জুতো।