করোনার দ্বিতীয় স্রোত রুখতে কোভ্যাক্সিন উৎপাদনে নয়া টার্গেট সেট, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বড় লক্ষ্য পূরণের আশা
বিদেশের বহু ভ্যাকসিনগুলি ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের ছা়ড়পত্র পেয়েছে আপৎকালীন ব্যবহারে। এদিকে, দেশের মাটিতে প্রস্তুত হওয়া ভ্যাকসিন নিয়েও সরকারের নজর কড়া। খুব অল্প সময়ে যাতে সারা দেশে ভ্যাকসিনেশন করা সম্ভব হয়,তার জন্য এবার কোমর বেঁধে ময়দানে নামল কোভ্যাক্সিন।
নয়া টার্গেট সেট কোভ্যাক্সিনের
জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাতে কোভ্যাক্সিনের ১০০ মিলিয় ন ডোজ চলে আসে বাজারে তার বন্দোবস্ত করতে কোভ্যাক্সিন পউৎপাদন বাড়ানোর পথে হাঁটছে। বর্তমানে তারা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন ডোজ প্রস্তুত করে থাকে, তার থেকে প্রতি মাসে ১০ মিলিয়ন ডোজ বাড়াতে চলেছে ভারত বায়োটেক।
জুলাই অগাস্টের মধ্যে কোন টার্গেট ?
এদিকে, জানা গিয়েছে, জুলাই অগাস্টের মধ্যে কোভ্যাক্সিনের ডোজ উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন হতে পারে । এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার দ্বিতীয় স্রোতের স্থায়িত্ব ১০০ দিন পর্যন্ত হতে পারে সর্বাধিক। সেক্ষেত্রে জুলাই অগাস্টের মধ্যে এই ডোজ বাজারে চলে আসলে, তা স্বস্তি দিতে পারে দেশকে।
সরকারি সাহায্য ও ভ্যাকসিন
এদিকে, পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৩ হাজার কোটি চাকার গ্রান্ট চেয়েছে ভ্যাকসিন ডোজের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ১৩০ কোটি টাকার গ্র্যান্ট কেন্দ্রীয় সরকার ধার্য করেছে কোভিডের ভ্যাকসিন প্রস্তুত কারক দুই সংস্থার জন্য। তারমধ্যে একটি ভারত বায়োটেক, অন্যটি হল সিরাম ইনস্টটিউট।
বিশেষজ্ঞদের কোন পরামর্শ ?
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার জেরে ভারতে দ্বিতীয় স্রোত মোকাবিলার অন্যতম উপায় হল হার্ড ইমিউনিটি। হার্ড ইমিউনিটি তৈরি যেমন ব্যাপকভাবে প্রয়োজন, তেমনই অন্যদিকে একটি এলাকার হিসাবে ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজনীয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সেই জায়গা থেকে সরকারের ভ্যাকসিন ঘিরে নয়া উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।