১০০ সাংবাদিকের জন্য ৪ টি কম্পিউটার, ১ টি মোবাইল! কাশ্মীরে চলছে অসম 'লড়াই'
নেই মোবাইল সংযোগ কিংবা ইন্টারনেট ব্যবস্থা। তারই মধ্যে কাজ করছেন কাশ্মীরের সাংবাদিকরা।
নেই
মোবাইল
সংযোগ
কিংবা
ইন্টারনেট
ব্যবস্থা।
তারই
মধ্যে
কাজ
করছেন
কাশ্মীরের
সাংবাদিকরা।
সম্বল
বলতে
চারটি
ইন্টারনেট
সংযুক্ত
কম্পিউটার।
যার
মধ্যে
দুটি
আবার
সরকারি
আধিকারিকদের
দখলে।
এমনই
পরিস্থিতিতে
কোনও
সাংবাদিককে
একটা
মেল
দেখতে
হলেও,
কোনও
কোনও
সময়
ঘন্টাখানের
অপেক্ষা
করতে
হচ্ছে।
সরকারের মিডিয়া সেন্টার
শ্রীনগরের স্থানীয় একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে ব্যস্ততা একটু অন্যরকমের। চারটি কম্পিউটার ঘিরে রয়েছেন অনেকে। সবার হাতে কাজ থাকলেও কেইউ কাজ করতে পারছেন না। তবে বসার সুযোগ পেলে তবেই রাজ্যের বাইরে নিজের কর্মস্থলের সদর দফতরে স্টোরি পাঠাতে পারছেন। পাশাপাশি বর্হিবিশ্বের খবরও তাঁরা জানতে পারছেন।
৫ অগাস্ট ভোর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। জম্মুতে তা থাকলেও আপাতত নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ৫ অগাস্ট রাজ্যসভা ৩৭০ ধারা বিলোপের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য পুনর্গঠনের বিলও পাশ করা হয় সেদিন।
এই নিষেধাজ্ঞার জেরে শুরু থেকেই অসুবিধায় পড়েন সাংবাদিকরা। স্থানীয় সাংবাদিকরা লক্ষ্য করেন, যোগাযোগের সব ব্যবস্থাই অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। এমনকি সরকারের থেকে দেওয়া বিশেষ ইন্টারনেট লাইনও। এক থেকে দুদিন কাশ্মীর সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট পাঠাতে পারেননি সেখানকার সাংবাদিকরা। তবে যেসব টিভি চ্যানেলের ওবি ভ্যান ছিল তারা একটু সুবিধা পেয়েছেন।
কিন্তু
সাংবাদিকরাও
নাছোর।
সেই
অবরুদ্ধ
এলাকা
থেকে
প্রথম
খবর
বিশ্বের
কাছে
যায়
এক
ব্যক্তির
মাধ্যমে।
বিশ্ব
বিখ্যাত
সংস্থার
সঙ্গে
কাজ
করা
বেশ
কয়েকজন
সাংবাদিক
এক
ব্যক্তির
সঙ্গে
তাদের
রিপোর্ট
পাঠিয়ে
দেন।
পরের
একসপ্তাহ
এই
পদ্ধতি
অনুসরণ
করতে
থাকেন
তাঁরা।
ডিজিটাল
রিপোর্টাররা
অন্য
সংস্থায়
কাজ
করা
সহকর্মীদের
সহায়তায়
তাদের
স্টোরি
রেকর্ড
করে
ওবি
ভ্যান
দিয়ে
পাঠিয়ে
দিয়েছেন
দেশের
অন্যপ্রান্তে।
যা
অন্যপ্রান্তে
যাওয়ার
পর
ফের
টাইপ
করতে
হয়েছে,
প্রকাশিত
হওয়ার
আগে।
মিডিয়ার
সুবিধা
যুক্ত
কেন্দ্র
খুলতে
সরকারের
একসপ্তাহ
সময়
লেগে
গিয়েছে।
যেখান
থেকে
সাংবাদিকরা
ইন্টারনেট
ব্যবহার
করতে
পারেন
কিংবা
ফোন
করতে
পারেন।
এরপর থেকে প্রায় একশো জন সাংবাদিক চারটি কম্পিউটার ঘিরে রয়েছেন তাঁদের স্টোরি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সদর দফতরে পাঠাতে।
এই পরিস্থিতিতে কাজ করা যে কতটা কঠিন, তার বর্ণনা দিয়েছেন সাংবাদিকরাই। তাঁরা বলছেন, মিডিয়া ফেলিসিটেশন সেন্টারে কাজ করার থেকে সহজ হল দিল্লি ফিরে যাওয়া। তবে সরকার মিডিয়া সেন্টার চালু করেছে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বহু সাংবাদিক সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। তবে ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে কারও কারও অভিজ্ঞতা হল, সাত আট মিনিট চেষ্টা করার পরেও ইমেল খুলতে না পারা।
খবর পাঠানোর নতুন উপায়
তবে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে নতুন উপায়ও বের করে নিয়েছেন রিপোর্টাররা। স্টোরি টাইপ করার পর ফ্ল্যাশ ড্রাইভে সেটি কপি করেছেন। এরপর সেটিকে ইমেলে পাঠিয়েছেন। এটাই বর্তমানে সহজ পদ্ধতি। তবে যে কাজটি কয়েক মিনিটের, কোনও কোনও সময় তা ঘন্টাখানের লেগে গিয়েছে।
একই পরিস্থিতি সেখানে থাকা একমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। প্রথমে নাম লেখাতে হয়েছে। তারপর অপেক্ষা দীর্ঘক্ষণের।
'মিডিয়া কনসেনট্রেশন ক্যাম্প'
তবে সরকারের এই মিডিয়া ফেলিসিটেশন সেন্টারকে কোনও কোনও সাংবাদিক মিডিয়া কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বলেও বর্ণনা করেছেন। এই সেন্টারে গোপনীয়তা কতটা রক্ষা করা গিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিকরা।