ফের ভারত বনধ! ২ দিনের জন্য স্তব্ধ হবে দেশ, মোদীর বিরোধিতায় পথে নামছেন শ্রমিকরা
পুজোর উৎসবের মরসুম পার হলেই চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত মহারণ শুরু হয়ে যাবে। নরেন্দ্র মোদীকে ব্যতিব্যস্ত করার চেষ্টায় দেশজুড়ে লিত হতে চলেছে ২ দিনের সাধারণ ধর্মঘট।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। পুজোর উৎসবের মরসুম পার হলেই চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তারপরেই নতুন বছর। লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত মহারণ শুরু হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতির মধ্যে নরেন্দ্র মোদীকে ব্যতিব্যস্ত করার চেষ্টায় দেশজুড়ে পালিত হতে চলেছে ২ দিনের সাধারণ ধর্মঘট।
নতুন বছরের ৮ ও ৯ জানুয়ারি দেশজুড়ে এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে এই ২দিন ভারতের জনজীবন পুরোপুরি স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা। শুক্রবার শ্রমিকদের এক কনভেনশনে এই সিদ্ধান্ত হয়। সিটুও জানিয়ে দেয় তারা ওই দুই দিন নরেন্দ্র মোদীর জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে সাধারণ ধর্মঘট পালন করবে।
সিটুর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'ভারতীয় কর্পোরেট এবং মাল্টিন্যাশনাল সংস্থাগুলির স্বার্থ সুরক্ষিত করতে অন্ধ্রভাবে জনবিরোধী, শ্রমিক-বিরোধী এবং দেশের স্বার্থবিরোধী নীতি নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির ভয়ানক ক্ষতিসাধরণ করা হচ্ছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্বউদ্ভুত উৎপাদন এবং উৎপাদন ক্ষমতা। '
[আরও পড়ুন: আরও মহার্ঘ জ্বালানি তেল! মুম্বইয়ে ৯১-এর পথে পেট্রোল]
শুক্রবার দিল্লিতে ১০টি শ্রমিক সংগঠনের এক কনভেনশনে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে নানা রেজিলিউশন নেওয়া হয়। এই কনভেনশনে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনা করে তাকে জনবিরোধী তকমাও দেয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই কনভেনশনে অবশ্য ব্রাত্য রাখা হয়েছিল আরএসএস স্বীকৃত ভারতীয় মজদুর সংঘকে।
[আরও পড়ুন: ১০০ টাকায় চিকিৎসা! হাসপাতাল খুলল সিপিএম]
এই কনভেশনেই ঠিক হয় আগামী তিন মাস দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারেরর বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় লাগাতার আন্দোলন চলবে। এই আন্দোলনে যেমন রয়েছে মিছিল, পথসভা তেমনি নেওয়া হয়েছে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি। এই সব কর্মসূচির শেষে করা হবে ভারত বনধ। আইএনটিএউসি, এআইটিএইসি,এইচএমএস, সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, টিএউসিসি, সেবা, এআইসিসিটিইউ, এলপিএফ, ইউটিইউসি, এআইআরএফ, এনএফআইআর-এর মতো শ্রমিক সংগঠনগুলি লোকসভা নির্বাচনের আগে এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরতে চাইছে।