প্রত্যেক মাসে স্বামী-স্ত্রীকে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা পেনশন! কীভাবে এই সুবিধা নেবেন?
বয়সকালে কীভাবে চলবে সবকিছু! দেশের অধিকাংশ মানুষই সেই চিন্তাতে ভোগেন। আর তাই ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্ল্যানে টাকা রাখেন। সরকারি ক্ষেত্রে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার অটল পেনশ
বয়সকালে কীভাবে চলবে সবকিছু! দেশের অধিকাংশ মানুষই সেই চিন্তাতে ভোগেন। আর তাই ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্ল্যানে টাকা রাখেন। সরকারি ক্ষেত্রে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana- APY) নিয়ে এসেছে।
সরকারের এই প্রকল্প সবথেকে সুরক্ষিত। আর তাই অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্ল্যানে টাকা রাখতে পছন্দ করে। বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই প্ল্যান। এই প্ল্যানে আরও বেশ কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। সুবিধা অনুযায়ী এবার স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। তাও আবার একেবারে ঘরে বসে।
কে বা কারা এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে?
অটল বিহারী পেনশন যোজনা ২০১৫ সালে শুরু হয়। মোদী সরকার আসার পর দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে এই প্ল্যান সামনে নিয়ে আসা হয়। মূলত অসংগঠিত কর্মীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখবে এই প্ল্যান। তবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে যে কোনও ভারতীয় এই প্ল্যানের সুবিধা নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পে টাকা রেখে পেনশন পেতে পারবেন। ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট থাকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন একজন গ্রাহক। এই প্রকল্পে ৬০ বছর হলেই পেনশন শুরু হয়ে যাবে। আর তাতে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।
অটল পেনশন যোজনা আসলে কি?
অটল পেনশন স্কিম অর্থাৎ Atal Pension Scheme একটি সরকারি পেনশন স্কিম। যাতে আপনি যতটা বিনিয়োগ করতে পারবেন সেই পরিমাণ টাকা পেনশন হিসাবে পাবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নুন্যতম ১০০০ টাকা পেনশন পাওয়া যেতে পারে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগের উপর দুহাজার, তিন হাজার, চার হাজার এবং সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যায়। খুব সহজেই এই প্রকল্পে টাকা রাখা যায়। তবে এই প্রকল্পের জন্যে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট, আধার নম্বর এবং রেজিস্টার মোবাইল নম্বর থাকাটা খুব প্রয়োজন।
এই যোজনাতে কি লাভ পাওয়া যেতে পারে
এই যোজনাতে ১৮ থেকে ৪০ সালের মধ্যে যে কেউ পেনশনের জন্যে তাঁর নাম নথিভুক্ত করতে পারে। তবে আবেদন করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তা করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে একটাই এই প্রকল্পের জন্যে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কোনও ব্যক্তি ১৮ বছর বয়সে অটল পেনশন যোজনাতে বিনিয়োগ করে তাহলে ৬০ বছর পর ৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে। এরজন্যে ২১০ টাকা করে টাকা জমা দিতে হবে। এভাবে বিভিন্ন টাকার পেনশন নেওয়ার জন্যে বিভিন্ন টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
১০ হাজার টাকা পেনশন কীভাবে পাবেন?
৩৯ বছর বয়স হয়নি এমন স্বামী-স্ত্রী এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারে। তবে অবশ্যই আলাদা আলাদা ভাবে। তবে ৬০ বছর পর থেকে জয়েন্টে ১০ হাজার টাকা করে পেনশন পাবে। আর তা প্রত্যেক মাসে পাওয়া যাবে। যে সমস্ত স্বামী এবং স্ত্রীয়ের বয়শ ৩০ বছর কিংবা তার কম, তাঁরা আলাদা আলাদা ভাবে APY অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। প্রত্যেক মাসে এরজন্যে ৫৭৭ টাকা করে দিতে হবে। যদি স্বামী এবং স্ত্রীয়ের বয়স ৩৫ বছর হয়ে যায় তাহলে প্রত্যেক মাসে ৯০২ টাকা করে কাটবে। শুধু তাই নয়, এই টাকা দেওয়া কালীন যদি কেউ অর্থাৎ স্বামী কিংবা স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে জীবিত থাকা পার্টনারকে ৮.৫ লখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ৬০ বছর হয়ে যাওয়ার পর প্রত্যেক মাসে পেনশনের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
ট্যাক্স বেনিফিট!
অটল পেনশন যোজনা সম্পূর্ণভাবে ট্যাক্স বেনিফিট পাওয়া যাবে। এছাড়াও ৮০ সিতে বেশ কিছু ছাড় পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও অটল পেনশন যোজনাতে মিলবে আরও বেশ কিছু ছাড়। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে এখনই যে ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিসে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট রিয়েছে সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন। ব্যাঙ্ক কর্মীরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত সাহায্য করতে পারবে আপনাকে।