দেশে চাকরি নেই, ১০ লক্ষের টোটকাতেই চাপে কেন্দ্র
দেশে চাকরির অবস্থা খুবই খারাপ। ভোট বাক্সে তা প্রতিফলিত না হলেও দেশের বহু যুবক চাকরি না পেয়ে ভুগছেন সমস্যায়। প্রত্যেক বছর কোটি কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর কেন্দ্র এখন দেড় বছর ১০ লক্ষ চাকরির কথা বলছে, কেন্দ্র নিজেও ভালো করেই জানা সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে। চাকরির অভাব রয়েছে দেশে। তলায় তলায় যে আগুন জ্বলছে সেই আগুনকে চাপা দিতে ১০ লক্ষ চাকরির কথা বলা হয়।
চাকরি আসবে কোথা থেকে?
প্রশ্ন উঠবে যে সরকার গত আট বছর ধরে চাকরি হওয়ার প্রতিশ্রুতি অঙ্কের ধারে কাছে ছিল না সেখানে আজ কীভাবে ১০ লক্ষ চাকরি আগামী দেড় বছরে হবে? দেশে ভারি শিল্প নেই। একের পর এক সরকারি সংস্থাও চলে যাচ্ছে বেসরকারি হাতে। এরপরে এত মানুষের চাকরি হবে বলে ফলাও করে ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।
চাকরি তো দিতে হবে
একবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে করা যায়নি। এবার আরও এক প্রতিশ্রুতি ঘারে নিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। এবার তো চাকরি দিতেই হবে। না দিলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। এখানেই সেফ গেম খেলে কেন্দ্র। সেনায় নিয়োগের ঘোষনা করা হয় , কিন্তু তা লম্বা সমতের জন্য নয়। অনেকটা চুক্তিবদ্ধ কাজের মতো। বছর চারেকের কাজ, শুধু সরকারি বলে, ২১ থেকে পঁচিশেই অবসর হতে পারে। হাতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। তারপরে কী হবে ? তা জানা নেই। বিপদের আঁচ এখানেই তৈরি হয়েছিল। যারা ভালো করবেন তাঁরা থাকবেন। যারা কম ভালো তাঁরা বাদের খাতায়। সরকারি কাজ করেও ভবিষ্যৎ নেই। প্রতিবাদ সেদিন থেকেই অল্প করে শুরু হয়েছিল। তড়িঘড়ি কেন্দ্র বলে যারা চার বছর পর খুব ভালো হবে না তাদেরকে আধাসামরিক বাহিনী, অসম রাইফেলে নিয়োগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ততক্ষণে যা হবার হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা এই জায়গাটা ধরে নেয়। তার সঙ্গে আবার শুরু হয় অরাজনৈতিক প্রতিবাদ। মুহূর্তে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারন করে।
মো-শা জুটির স্পেশাল স্কিম
বিশেষজ্ঞরা বলছে এখানে জাতীয়তাবাদী স্কিম খেলতে গিয়েছিল কেন্দ্র। সেনায় চাকরি হচ্ছে মানে এতেই মন খুশি হয়ে যাবে। এই রাজনীতির খেলাটা কেন্দ্র ভেবেছিল ভালোভাবেই তাঁরা খেলে দেবেন, কিন্তু সেটা হয়নি। আর তার ফল যা হয়েছে তা এই মুহূর্তে সারা ভারত দেখতে পাচ্ছে।
অগ্নিপথ সমস্যা
অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিলের জন্য ,বিহারে শনিবার সকালে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা বিতর্কিত নিয়োগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ডাকা বনধ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছিল। শুক্রবার বিহারে 'অগ্নিপথ'-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হিংসার আকার ধারন করে। উত্তেজিত জনতা কয়েক ডজন রেলওয়ে কোচ, ইঞ্জিন এবং স্টেশনে আগুন দেয় এবং বিজেপি অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, পুলিশকে রাজ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।