এনসিসি ছাড়ার নির্দেশ জামিয়ার ১০ ছাত্রকে, কারণ জানলে চমকে যাবেন
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ১০ ছাত্রকে এনসিসির সদর দফতর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক। দাড়ি রাখার দায়ে এনসিসির সদর দফতর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁদের।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ১০ ছাত্রকে এনসিসির সদর দফতর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক। দাড়ি রাখার দায়ে এনসিসির সদর দফতর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁদের। ছদিনের ক্যাম্পে এনসিসি-র সদর দফতরে গিয়েছিলেন ওই ১০ ছাত্র।
এনসিসির ব্যাটালিয়নের হাবিলদার মেজরের নির্দেশ। দাড়ি কাটতে হবে। না হলে ক্যাম্পে থাকা যাবে না। ১৯ ডিসেম্বর এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
ছাত্রদের তরফে আবেদনের মাধ্যমে জানানো হয়, ধর্মীয় কারণেই তাঁরা দাড়ি রেখেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা জানান, এনসিসির সঙ্গে তাঁরা দুইবছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত রয়েছেন। কোনও সময়ই তাঁদের দাড়ি কাটতে বলা হয়নি। এই বিষয়টিও উল্লেখ করেন তাঁরা। ১০ জনের এই দলে রয়েছেন আইনের প্রথম বছরের ছাত্র দিলসাদ আহমেদ। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর-এর বাসিন্দা এই দিলসাদ। ষষ্ঠদিনে তাঁদেরকে বলপূর্বক এনসিসির সদর দফতর ছেড়ে যেতে বলা হয় এবং সব জিনিসপত্রও সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরা সবাই পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এনসিসির এই দরনের ঘটনা তাঁদেরকে খুব আহত করেছে বলে জানিয়েছেন দিলসাদ।
দিলসাদ জানিয়েছেন, তাঁর অপর বন্ধু মহম্মদ হামজা এনসিসির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় তিন বছর। তাঁরা আর্মি অ্যাটাচমেন্ট ট্রেনিং ক্যাম্পেও যোগ দিয়েছেন। সেখানেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দিলসাদ।
এনসিসির প্রাক্তন এক পদাধিকারী জানিয়েছেন, তাদের ক্যাম্পে দাড়ি রাখার কোনও নিয়ম নেই। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দলের অপর সদস্য আনোয়ার আলম জানিয়েছেন, ক্যাম্পে তাঁদের তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন আনোয়ার।
ছাত্ররা দাবি করেছেন, তাঁদেরকে মুভমেন্ট অর্ডার দেওয়া হয়নি। মুভমেন্ট অর্ডার দেওয়া হলে, তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়ার কারণও দেওয়া থাকত।
এনসিসির আইন-এ কোথাও দেওয়া নেই দাড়ি রাখা নিয়ম না মানার সামিল। এমনটাই জানিয়েছেন দিলসাদ।
সংবাদ মাধ্যমের তরফে সিও এসবিএস যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
বিষয়টি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নজরেও আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তদন্তের আশ্বাস মিলেছে।