৬০ বছরে রেকর্ড বর্ষণ ত্রিপুরায়, ঘর ছাড়া ১০ হাজার, ধসে বিধ্বস্ত মেঘালয়
৬০ বছরে রেকর্ড বর্ষণ ত্রিপুরায়, ঘর ছাড়া ১০ হাজার, ধসে বিধ্বস্ত মেঘালয়
নাগাড়ে বর্ষণ যেন থামছেই। এমন ধারাপাত আগে কখনও দেখেননি ত্রিপুরার বাসিন্দারা। ৬০ বছরে রেকর্ড বর্ষণ হয়েছে এবার ত্রিপুরায়। তার পরিণতি যা হবার তাই হয়েছে। চতুর্দিকে জলমগ্ন পরিস্থিতি। ভাসছে রাজ্যের সিংহভাগ এলাকা। ভাসবে নাই বা কেন জল বেরোনোর জায়গাও তো নেই। একদিকে অসম মেঘালয় ভাসছে আরেদিকে ভাসছে বাংলাদেশ। ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৬০ বছরে রেকর্ড বর্ষণ হয়েছে আগরতলায়। প্রায় ১০ হাজার মানুষ ঘর ছাড়া। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে তারা।
ভাসছে ত্রিপুরা
অসমের পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।নাগারে বর্ষণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে সব নদী। ভাসছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাও। শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণ চলছে শহরে। এত বর্ষণ এর আগে শহরের বাসিন্দারা কেউ দেখেনি। আগরতলার সিংহভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্ষণ কমান নাম করছে না। তার মধ্যে আবার ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় হরপা বান দেখা দিয়েেছ। ১০ হাজারের মত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক গ্রাম। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক জায়গায়। সেখানে ত্রাণ পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে।
রেকর্ড বর্ষণ মেঘালতে
ত্রিপুরার মতই বর্ষণে বিধ্বস্ত মেঘালয়। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে সারাবছরই বর্ষা হয়। তবে এবার যে পরিমাণ বর্ষা হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে তা ১৯৪০ সালের পর আর হয়নি। মেঘালয়ের মৌসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড বর্ষণ হয়েছে। বর্ষণের জেরে মেঘালয়ে ২০ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। ভয়ঙ্কর কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মেঘালয়ে। অসমের সঙ্গে মেঘালয়ের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ধসের কারণে।
বিপর্যস্ত অসম
উত্তর পূর্বের আরেক রাজ্য অসম। সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। এক মাসের থেকে বেশি সময় ধরে অসমে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। বর্ষা ঢোকার আগে থেকেই প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত অসম। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ার পর থেকে অসমের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ৪ হাজার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে অসমে। দেড় লক্ষের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। তাঁদের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। একাধিক সড়ক ভেঙে গিয়েছে। শিলচর সংযোগকারী রাস্তায় বিপজ্জনক আকার নিয়েছে।সেকারণে শিলচর সফরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সাহায্যের প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রের
অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। এছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল কাজ করছে অসমে। কেন্দ্রের তরফ থেকে ত্রাণও পাঠানো হয়েছে অসমের জন্য। গত ১ মাস ধরে বন্যায় বিপর্যস্ত অসমের একাধিক জায়গা। এবার উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলিতে বেশি করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমী বায়ু।
প্রতীকী ছবি
সরকারের অনেক ভাল কাজেও রাজনীতির রং, আফশোস প্রধানমন্ত্রী মোদীর