বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জের, আন্দামানে এখনও আটক ১৯০০ পর্যটক
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জেরে প্রায় ১৯০০ পর্যটক এখনও সেখানে আটকে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মোট ১২০০ জন রয়েছেন হ্যাভলক দ্বীপে ও বাকী ৭০০ জন রয়েছেন নীল দ্বীপে।
পোর্ট ব্লেয়ার, ৯ ডিসেম্বর : বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জেরে প্রায় ১৯০০ পর্যটক এখনও সেখানে আটকে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মোট ১২০০ জন রয়েছেন হ্যাভলক দ্বীপে ও বাকী ৭০০ জন রয়েছেন নীল দ্বীপে।
বহু পর্যটক রয়েছেন যারা ছোট ছোট দ্বীপগুলিতে ঘুরতে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেখান থেকে ফিরতে পারছেন না। ফলে বহু মানুষ যারা দল বেঁধে আন্দামান সফরে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেও বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। একই জায়গায় থেকে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
হ্যাভলক দ্বীপ থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। গত ২ দিন ধরে হ্যাভলকের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকেরা বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন দ্বীপে।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দামানের আবহাওয়া খুব খারাপ হয়ে রয়েছে। প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে, ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে সমুদ্রও। ফলে আকাশপথে যেমন পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না, তেমনই জলপথেও ফেরানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আন্দামানের হোটেলগুলিতে সরকারি নির্দেশ মেনে পর্যটকদের বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার সমস্ত সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত দ্বীপদুটিতে খাবার ও পানীয় জলের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। তবে যেহেতু সবকটি দ্বীপেই বিদ্যুতের সুবিধা দেওয়া হয় জেনারেটরের মাধ্যমে, তাই ডিজেল কতটা রয়েছে, তা পর্যাপ্ত কিনা, সেটাই চিন্তার বিষয়।
এছাড়া দুর্যোগের কারণে টেলিফোন যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকেই পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তাতে অনেকের মধ্যে আশঙ্কা ছড়িয়েছে। অন্যদিকে যে পর্যটকেরা নতুন করে আন্দামানে এসেছিলেন, তারা পোর্ট ব্লেয়ার থেকেই ফিরে গিয়েছেন।