মোদী জমানায় অর্থ সংকটে আধুনিক অস্ত্রে টান! নতুন ভাবনা-চিন্তা সেনার অন্দরমহলে
এবার কি সেনাবাহিনীতে কর্মী সংকোচন। অস্ত্রভাণ্ডার সম্পৃক্ত করতে এবং পুরনো অস্ত্রের বদলে নতুন অস্ত্রের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা বছরের পর বছর ধরে অমিল।
এবার কি সেনাবাহিনীতে কর্মী সংকোচন। অস্ত্রভাণ্ডার সম্পৃক্ত করতে এবং পুরনো অস্ত্রের বদলে নতুন অস্ত্রের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা বছরের পর বছর ধরে অমিল। সেইজন্য প্রায় ১.৫ লক্ষ কর্মী সংকোচনের চিন্তাভাবনার কথা উঠে এসেছে। এটা করা গেলে বছরে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার মতো বাঁচানো সম্ভব হবে। যা দিয়ে নতুন অস্ত্রের প্রয়োজন মেটানো যাবে।
বর্তমান আর্থিক বছরে সেনাবাহিনীর জন্য আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা। যার প্রায় ৮৩ শতাংশই ব্যয় হয় প্রতিদিনের খরচ আর বেতন বাবদ। তবে এর মধ্যে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক পেনশনের খরচ ধরা নেই। এর জন্য অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দেওয়া হয়। ফলে প্রতিরক্ষা বাজেটের ১৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২৬,৮২৬ কোটি টাকার মতো ব্যয় করা হয় অস্ত্রের পিছনে। যা প্রয়োজনের পক্ষে যথেষ্ট নয়।
আগামী কয়েক বছরে অস্ত্রের পিছনে খরচ ২৬,৮২৬ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩১,৮২৬ থেকে ৩৩,৮২৬ কোটি টাকার মধ্যে নিয়ে যেতে চায় সেনা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
গত মার্চে তৎকালীন সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরৎ চাঁদ সংসদীয় কমিটির সামনে বলেছিলেন, সেনাবাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারের ৬৮ শতাংশই বহু পুরনো। ২৪ শতাংশ বর্তমান সময়ের জন্য কার্যকরী। আর ৮ শতাংশ অত্যাধুনিক।, স্টেট অফ দ্য আর্ট ক্যাটেগরির।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনীতে কর্মী সংখ্যা কমানোর বিষয়টি প্রস্তাবের পর্যায়ে রয়েছে। তবে কোনও ভাবেই কর্মরত অফিসার কিংবা জওয়ানদের ওপর এর প্রভাব পড়বে না বলেও জানা গিয়েছে। প্রত্যেকবছরে সেনা থেকে প্রায় ৬০ হাজার কর্মী অবসর নেন। যদি সেনার তরফে কর্মীসংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেক বছরে নিয়োগের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।