হুগলিতে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল! ‘বেসুরো’ তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতা
দিন যত এগোচ্ছে গোটা রাজ্যজুড়েই ততই চড়ছে বিধানসভা ভোটের পারদ। এদিকে দলবদলের হিড়িকে গত বছর শেষ থেকেই জেরবার তৃণমূল। ভিন স্রোতে গা ভাসতে দেখা গিয়েছে ছোট-বড় একাধিক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদকে। এমতাবস্থায় এবার হুগলীর তারকেশ্বরে বেসুরো তৃণমূল নেতা উত্তম কুন্ডু। খোদ দলীয় সভাতেই আনলেই অসহোযোগীতার অভিযোগ।

দলের অন্দরেই অসহযোগীতার অভিযোগ
শুধু অসহযোগীতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দলের কার্যকলাপ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিমি। যা নিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে হুগলী জেলা নেতৃত্ব। প্রবল চাপানৌতর শুরু হয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব মহলেও। উত্তমের অভিযোগ দলে থেকেও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাকে। এর জন্য তিনি সরাসরি আঙুল তোলেন তারকেশ্বর পুরসভার প্রশাসক স্বপন সামন্তর বিরুদ্ধে।

নিজ কানে শুনিনি, তাই কিছু বলব না, বিতর্ক এড়ালেন স্বপন
যদিও এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তর দিতে অস্বীকার করেন স্বপন সামন্ত। রীতিমতো পাশ কাটিয়ে তাঁর জবাব, "নিজ কানে শুনিনি, তাই কিছু বলব না।" এদিকে যে সভা মঞ্চ থেকে স্বপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন উত্তম সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি ও বিধায়কও। তাদের সামনেই তারকেশ্বর পুরসভার ওই প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা বিদায়ী উপ পুর প্রধান উত্তম কুন্ড।

বিজেপিতে আসতে চেয়েই রাস্তা বানাচ্ছে বিদ্রোহী তৃণমূল নেতারা
এদিকে আগাম কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই উত্তমের এধরণের বেলাম মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় জেলাসভাপতিকেও। কোনোরকম মম্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন বিধায়কও। এদিকে হুগলিতে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে আসায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। উত্তম বিদ্রোহের পরেই বিজেপিতে আসতে চেয়েই কেউ কেউ রাস্তা বানাচ্ছে বলেও ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের নিশানা করে পদ্ম ব্রিগেড।

রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হুগলী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তারকেশ্বর, আরামবাগ, ধনেখালি হুগলীর এই তিন এলাকাই বরাবরই রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত। বিধানসভা ভোটের দামামা বাজতেই প্রতিমাসেই সেখানে কোনও কোনও সংঘাতে জড়াতে দেখা গিয়েছে বিজেপি-তৃণমূলকে। এমনকী গত কয়েকমাসে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অনেক তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীরাও। যা নিয়েও রাজনৈতিক তর্জা অব্যাহত। এমতাবস্থায় উত্তমের বিদ্রোহের পর জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।
প্রশান্ত কিশোরকে হারিয়ে দিলেন বিজেপির 'চাণক্য’! বাংলার 'রায়ে’র উল্টো পথে সমীক্ষা