একসময় পাউরুটির জন্য হাহাকার করে এখন মাংস-মদের জোগানদার! সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন
একসময় পাউরুটির জন্য হাহাকার করে এখন মাংস-মদের যোগানদার! সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন
রাজনীতিতে এসে ভুল করেছেন, এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন, বলাগড়ের তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি ( manoranjan bapari) । তারপর থেকে তাঁকে বেশ কিছুদিন ফেসবুকে দেখা যায়নি। এবার সেই সেই ফেসবুকেই মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন।
মদ-মাংসের জোগানদার
এদিন মনোরঞ্জন ব্যাপারি ফেসবুক পোস্ট করে বলেছেন, এক সময় তিনি সতেরো পয়সা দামের একটা পাউরুটির জন্য কত হাহাকার করেছেন, আর সেই তিনি আজকাল অনেক জনের ভাত তো তুচ্ছ , মাংস মদের পর্যন্ত জোগান দিতে পারছেন ভেবে পুলকিত হচ্ছেন।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা
দিন কয়েক আগে তাঁর অমানবিক উচ্চারণ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এদিন তিনি বলেছেন, তিনি কেন আমানবিক উচ্চারণ করতে পারিনি, কেন তিনি খইনি খান, কেন তিনি সুখ শয্যায় না শুয়ে গামছা বিছিয়ে আমগাছের ছায়ায় শুয়ে পড়েন, কেন তিনি দামি হোটেলে না খেয়ে মা ক্যান্টিনে লাইন দিয়ে "দিম্ভাত" খান , এই সব নিয়ে খবর করে কিছু জন আজকাল বেশ তেলে ঝোলে থাকছে।
একদিন ক্রমমুক্তি
এদিন
তিনি
কেন্দ্রীয়
সরকারের
পাশাপাশি
সংবাদ
মাধ্যমের
একাংশকেও
নিশানা
করেছেন।
সোশ্যাল
মিডিয়া
পোস্টে
তিনি
বলেছেন,
ভেবে
পান
না,
মানুষের
কত
সমস্যা
সে
গুলো
কী
এঁদের
চোখে
পড়ে
না?
পেট্রল
ডিজেলের
দাম
আকাশ
ছুঁতে
চলেছে
,যার
ফলে
সমস্ত
জিনিসের
দাম
বাড়ছে,
প্রায়
আট
মাস
রোদ
শীত
বৃষ্টি
উপেক্ষা
করে
লক্ষ
লক্ষ
অন্নদাতা
কৃষক
দিল্লির
রাস্তায়
বসে
আছে,
তা
নিয়ে
সংবাদ
মাধ্যম
নীরব।
সময়
নেই
এঁদের
সে
দিকে
চোখ
ফেরাবার।
এঁরা
ক্যামেরা
নিয়ে
ঘুরছে
তিনি
কখন
কার
কাছে
হাত
পেতে
খৈনি
চেয়ে
নেবেন
তেমন
ছবি
তোলবার
চেষ্টায়।
কটাক্ষে
তাঁর
বার্তা
সাবাস,
এই
তো
চাই।
চালিয়ে
যাও
ভাই।
এই
ভাবে
"একদিন
ক্রমমুক্তি"
হবে
।
শেষ লড়াই লড়ছেন
তিনি বলেছেন, বাংলার মানুষ বিজেপিকে চেনে না। তবে হাওয়া উঠেছিল বিজেপি আসছে। বিজেপি এলে কার কী ক্ষতি হত তিনি বলতে পারবেন না, তবে তাঁর তো হতোই। আবার তাঁকে হয়ত ছত্তিশগড়ে যেতে হত। তবে শেষ লড়াইটা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন নকশাল আন্দোলন থেকে সাহিত্যিক হয়ে ওঠা ওই ব্যক্তি।
ছবি সৌজন্য:ফেসবুক