গুন্ডির বদলা কুমড়ো পটাশ! শুভেন্দুকে লোডশেডিং বিধায়ক তকমায় বিঁধলেন অসীমা
হুগলিতে তাঁর এলাকায় গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রকে গুন্ডি বলে আক্রমণ শানিয়ে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তার বদল শুভেন্দুকে কুমড়ো পটাশ বলে নিশানা করলেন অসীমা।
হুগলিতে তাঁর এলাকায় গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রকে গুন্ডি বলে আক্রমণ শানিয়ে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তার বদল শুভেন্দুকে কুমড়ো পটাশ বলে নিশানা করলেন অসীমা। সেইসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে লোডশেডিং বিধায়কের তকমা দিতেও ভুললেন না তিনি।
তবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেও এদিন তাঁর নান নেননি তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র। তিনি বিরোধী দলনেতাকে নাম না করে লোডশেডিং বিধায়ক এবং কুমড়ো পটাশ বলে কটাক্ষ করেন। শুক্রবার শুভেন্দুর পাল্টা সভা করে তৃণমূল বিধায়ক আক্রমণ শানান।
এর আগে ধনিয়াখালিতে সভা করতে এসে সেখানকার বিধায়ক অসীমা পাত্রকে 'গুন্ডি' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর এদিন পাল্টা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। এই প্রতিবাদ সভা থেকে নাম না করে বিরোধী দলনেতাকেও বিঁধতে ছাড়লেন না তিনি।
এদিন বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, কুমড়ো পটাশ এখানে বক্তব্য রেখে গেছে। কিন্তু তিনি জানেন না ধনিয়াখালির মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসে। এটা আমার জন্মভূমি, পিতৃভূমি। এখানে আমি বড়ো হয়েছি। তাই এই পিতৃভূমিতে কেউ যদি চক্রান্ত করে, তাহলে ধনিয়াখালির জনগণ আমার হয়ে লড়াই করবে। ধনিখালির মানুষই এর জবাব দেবে। কুমড়ো পটাশ এখানে এসে কৃী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না আমার।
এদিন তৃণমূলের বিধায়ক অসীমা পাত্র আরও বলেন, ধনিয়াখালিতে এসে কুমড়ো পটাশ বলে গেছেন এখানে একটা গুন্ডি আছেন। উনি নিজেকে শিক্ষিত বলেন, কিন্তু এই 'গুন্ডি' শব্দটা অভিধানে কোথায় আছে জানি না। উনি জেনে রাখুন আমি ওনার মতো লোডশেডিং বিধায়ক নই।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী একেবারে লাস্ট রাউন্ডে বিতর্কিত জয় পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজয়ী বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তারপর লোডশেডিংয়ের তত্ত্ব সামনে আসে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঘোষণা করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তারপর থেকে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। আর তৃণমূল নেতারা তাঁকে লোডশেডিং বিধায়ক তকমা দেন। সেই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, একে অপরের বিরুদ্ধে নিশানা চলে আসছে। হুগলিতে শুভেন্দু অধিকারী সভা করে বিধায়ক অসীমা পাত্রকে নিশানা করার পর ফের সেই তত্ত্বই সামনে চলে এল ফের। গুন্ডির বদলায় কুমড়ো পটাশের পাশাপাশি লোডশেডিং বিধায়ক তকমাও ফিরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে।