'যত মত তত পথ', লক্ষ্মীর পদত্যাগের পর হাওড়ায় বিদ্রোহী আরও এক নেতা, চরমে তৃণমূলের কোন্দল
'যত মত তত পথ', লক্ষ্মীর পদত্যাগের পর হাওড়ায় বিদ্রোহী আরও এক নেতা, চরমে তৃণমূলের কোন্দল
লক্ষ্মীরতন শুক্লার পরেই একে একে বিদ্রোহের সুর চড়া হতে শুরু করেছে হাওড়া জেলায়। বৈশাখী ডালমিয়ার পর এবার বেসুরো হতে শুরু করেছেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। অরূপ রায়ের গোষ্ঠির সঙ্গে তাঁর বিবাদ নতুন নয়। লক্ষ্মীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সেই পুরনো জখম ফের তাজা করে গিয়েছে। এবার প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। হাওড়ায় কাজ করা যাচ্ছে না। চরম অসহযোগিতা চলছে জেলায়। একের পর এক গলদ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
বেসুরো রথীন
হাওড়ায় তৃণমূল সংগঠনের পরতে পরতে যে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব জড়িয়ে রয়েছে তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। লক্ষ্মী রতন শুক্লার একটা পদক্ষেপ যেন নতুন করে বিক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে হাওড়ায়। প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন হাওড়ায় কোনও ভাল নেতৃত্ব নেই। যাঁরা কাজ করতে চাইছেন তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। কাজ করতে গেলে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করা হচ্ছে।
রথীন কি বিজেপিতে
রথীন চক্রবর্তীর প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পরেই তাঁর বিজেপিেত যোগ দানের জল্পনা শুরু হয়েছে। তারপরেই আবার তৃণমূল নেতা বলেছেন যত মত তত পথ। তাে আরও পারদ চড়েছে জল্পনার। এদিন প্রকাশ্যেই তিনি অভিযোগ করেছেন দল তাঁকে ব্রাত্য করে রেখেছে। তার কথা শোনা হচ্ছে না। হাওড়ার সংগঠন নতুন করে সাজানোর দাবি তুলেছেন তিনি। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব কিছুতেউ তাঁর কথা শুনছেন না বলে অভিযোগ রথীনের।
বেসুরো বৈশালী
লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগের পর বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াও। তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন কাজ করতে না পেরেই লক্ষ্মী সরে গিয়েছেন। তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না হাওড়ায়। এবারও সেই আঙুল উঠেছে অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে। তিনি নিজেও কাজ করতে পারছেন না বলে প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন বৈশালী। দলে অনেক উইপোকা রয়েছে তাদের না সরালে পারলে আরও অনেক ভাল নেতা চলে যাবেন বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
দল ছাড়লেন লক্ষ্মী
অরূপের দাপটে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারলেন না লক্ষ্মীরতন শুক্লাও। একেবারে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীকে। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে লক্ষ্মী জানিয়েছিলেন তিনি কাজ করতে পারছিলেন না। জেলা সভাপতি হয়েও তাঁদের দলের একাধিক কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি খেলায় ফিরে যেতে চান বলে জানিয়েছিলেন।
মুকুলের লেগেছিল তিন বছর, শুভেন্দু ১৮ দিনেই পেলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর পদমর্যাদা