For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

লড়াই সেয়ানে সেয়ানে, খালনার লক্ষ্মী পুজোকে টক্কর দিচ্ছে জোকা গ্রামও

লড়াই সেয়ানে সেয়ানে, খালনার লক্ষ্মী পুজোকে টক্কর দিচ্ছে জোকা গ্রামও

Google Oneindia Bengali News

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ক্ষেত্রে প্রথমেই উঠে আসে হাওড়া জেলার খালনা গ্রামের নাম। খালনা গ্রাম লক্ষ্মী গ্রাম হিসাবে বাংলার বুকে পরিচিত। তবে বিগত কয়েক বছর খালনার লক্ষ্মীপুজোকে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিচ্ছে গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-১ ব্লকের জোকা গ্রাম।

লড়াই সেয়ানে সেয়ানে, খালনার লক্ষ্মী পুজোকে টক্কর দিচ্ছে জোকা গ্রামও

দামোদর তীরবর্তী জোকা গ্রামে লক্ষ্মীপুজোই প্রধান উৎসব। জোকা গ্রামে মাত্র তিনটি বুথে ১৬-১৭ টি সর্বজনীন লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তো বাড়ির পুজো রয়েইছে। সর্বজনীন পুজোগুলোর বেশিরভাগই লক্ষাধিক টাকা বাজেটের। কেউ সাবেকিয়ানায় জোর দেয় কেউবা আবার থিমের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। ক্লাব সৃষ্টি, ইন্টারন্যাশনাল, অ্যাকশান কমিটি, শীতলাতলা সহ বিভিন্ন বিগ বাজেটের পুজোয় থাকে নানা থিমের ছোঁয়া।

গ্রামজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। ঘরঘর আত্মীয়স্বজন এসেছেন, জোকা গ্রাম আলোর রোশনাইয়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বাগনান তো বটেই হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ জোকায় কোজাগরী লক্ষ্মী দেখতে ভিড় জমান।

হাওড়া জেলার আমতা দুই নম্বর ব্লকের খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়, মল্লিক, রীত, দত্ত বাড়ি ও বিভিন্ন ক্লাব, সমিতি, সংঘে লক্ষী পুজোর প্রস্তুতি চলছে। খালনা নদী মাতৃক হওয়ায় দামোদর নদী, রূপনারায়ণ নদী, মুণ্ডেশ্বরী নদী, হুড়হুড়িয়া খাল, বেগুনেঘাটা দহ , সর্টকাট চ‍্যানেল দিয়ে ঘেরা পূর্বে ও এখন ।

তখন নদ , নদী দিয়ে ব‍্যবসা বানিজ্য করতো এলাকার মানুষ জন। সেই থেকে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর চল চলে আসছে। গৃহে গৃহে ও বারোয়ারী পুজো, সর্বজনীন পুজো, ক্লাব , সমিতি, সংঘে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান, খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মেলা ও হাজারো বিকিকিনির সম্ভার নিয়ে ডালি পসরা সাজিয়ে বসে বিক্রেতারা। কয়েক মাস ধরে নিজেরাই নিজেদের মতো করে লক্ষ্মী ঠাকুর, মণ্ডপ, আলোক সজ্জায় ভরিয়ে তোলে। গত কয়েক বছর করোনার কারনে জয়পুর থানার লক্ষ্মী গ্রাম খালনায় লক্ষ্মী পুজোয় কিছুটা হলেও ছাপ পড়েছে।

ছোট ,বড়, মাঝারি, বিগ বাজেটের মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ থেকে সত্তরটি ও বিভিন্ন বাড়িতেও লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান খালনার প্রাক্তন প্রধান গৌতম চক্রবর্তী। আজকে খালনা এলাকায় লক্ষ্মীপূজার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে দেখা গেল এলাকায় এলাকায় প্রস্তুতি চলছে কোথাও মণ্ডপ তো আবার কোথাও কোথাও মণ্ডপ ও লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।

ষাট সদস্যের খালনা মিতালী সংঘ , আটত্রিশ তম বর্ষপূর্তি মণ্ডপ তৈরি ও প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। ভারতের ইণ্ডিয়া গেটের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হবে, বস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানান সন্দীপন দাশ। বাংলার লক্ষীগ্রাম খালনার পুজো উদ্যোক্তারা আশাবাদী কোভিড বিধি মেনে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাবে। পর্যাপ্ত পানীয় জল, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে বিভিন্ন পুজো কমিটি সূত্রে জানা গেছে।

শোনা যায়, একসময় এই গ্রাম ভাসত বন্যায়। মাঠেই নষ্ট হত ফসল। তখন কাজের খোঁজে শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন গ্রামের অনেকে। এরপই গ্রামে লক্ষ্মীর আরাধনা শুরু। গ্রামে দুর্গাপুজো হয় হাতে গোনা। লক্ষ্মীপুজোর জন্যই সারাবছর অপেক্ষা। একশোর বেশি বারোয়ারি পুজো। তার মধ্যে চল্লিশের বেশি বড় বাজেটের পুজো। আর এভাবেই পালিত হয় লক্ষ্মী পূজা।

আমতার গ্রামে সম্প্রীতির ছবি, রমেশ, সমীরদের সঙ্গে পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত আসাদুল, গোলামরাআমতার গ্রামে সম্প্রীতির ছবি, রমেশ, সমীরদের সঙ্গে পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত আসাদুল, গোলামরা

English summary
the tought fight for better laxmi puja in between khalna and joka
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X