সতীর মালাই চাকী থেকে সৃষ্টি হয় দেবীর, শুরু হয় পুজো
সতীর মালাই চাকী থেকে সৃষ্টি হয় দেবীর, শুরু হয় পুজো
আমতার মেলাই চন্ডী ৫১ সতী পিঠের অন্যতম। কথিত রয়েছে যে সতীর মালাই চাকি থেকেই সৃষ্টি হয় মা মেলাই চন্ডীর। কয়েক শতাব্দী বছর আগের কথা। আমতায় মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়।
সতীর দেহ
সতী দেহ রাখেন। তারপর তাঁর দেহাংশ অসমের জয়ন্তী খাসিয়া পাহাড় থেকে নদীপথে চলে আসে দামোদরের তীরে। আর সেই তীরের নাম আমতা। মায়ের দেহাংশ পরে তীরে তাকে তুলতে হবে। এমনই স্বপ্নদেশ পান সাধক জটাধারী চক্রবর্তী।
এমন আদেশ পেয়ে তিনি আর থেমে থাকেননি। নদীপথে তিনি আমতার দামোদরের পশ্চিম পাড়ে চলে যান। খরস্রোতা দামোদর। সেই নদী পেরিয়ে গিয়ে তিনি দেখেন যে একটি পাথরের খন্ড পড়ে রয়েছে।
উদ্ধারের পর
সেটি উদ্ধারের পর তিনি তা কোথায় আনবেন বুঝতে পারেননি। প্রতিদিন পুজো করতে যেতেন সেই স্থানে গিয়ে। কিন্তু নদী পার হওয়া প্রতিদিন সম্ভব? কথিত রয়েছে কুমিরের পিঠে চড়ে প্রতিদিন জটাধারী চক্রবর্তী নদী পেরতেন।
এরপর ফের মেলে দেবীর স্বপ্নাদেশ। নিজের পূজার স্থানে মাকে নিয়ে আসেন। মন্দির বিরাজ করছে আজ সেখানেই। মা সাড়া দেন ভক্তের ডাকে। বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের যে, কঠিন রোগ থেকে মায়ের কৃপায় মুক্তি মেলে।
বর্তমানে রয়েছে ২৬৭টি সেবাইত পরিবার। মন্দিরে সারা বছর পূজো হয়। মায়ের পুজো যেমন হয় তেমন আবার ভোগ নিবেদনও হয়। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয় নিয়ম মেনে। সেই দুর্গা পুজো কালী পুজোতে বিশেষ পুজো হয়।
দীপান্বিতা কালীপুজো
আসছে দীপান্বিতা কালীপুজো। জোর কদমে তার প্রস্তুতি চলছে। মায়ের মন্দিরে একদিকে রয়েছে রঘুনাথের মন্দির। অপরদিকে দুর্গেশ্বর শিবের মন্দির। মেলাইচণ্ডীর সামনে রয়েছে ওলাইচণ্ডীর মন্দির। সিংহ দুয়ার আছে মন্দিরের প্রবেশে বিশাল আকার।
মন্দির ছিল না
আগে কোনও মন্দির ছিল না। ছাউনিতে হত পুজো। বলা হয় যে দামোদর নদীপথে নাকি এক কলকাতার এক ব্যবসায়ী নুনের ব্যবসা করতে যাচ্ছিলেন। আমতার কাছে জাহাজ ডুবি হয়। মেলাই চণ্ডী মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনিই মা বর্তমানের ওই মন্দির নির্মাণ করে দেন।