ট্রেনে উঠতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন
রেলের স্টাফ ট্রেনে উঠতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া স্টেশনে। স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদেরও উঠতে দিতে হবে। এই দাবিতে শনিবার সন্ধেয় হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীদের দাবি, কাজ করতে কলকাতায় এসেছি। ফিরব কীভাবে! স্পেশাল ট্রেনে চড়তে দিতে হবে। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দিতে নারাজ রেল পুলিশ। দুই পক্ষের বাদানুবাদ এমন জায়গায় পৌঁছায় শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে হয় রেল পুলিশকে।

রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধেয় স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয় যাত্রীদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট। জোর করে স্টেশনে ঢুকতে গেলে জিআরপি ও আরপিএফ এর সঙ্গে বচসা বেধে যায় যাত্রীদের। পুলিস তাদের লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এক মহিলা নিজেকে একজন পুলিস কর্মী পরিচয় দিয়ে পরিচয়পত্র দেখালেও তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে হাওড়া স্টেশনে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে না মনে হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
এর আগেও রেলের স্টাফ ট্রেনে উঠতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নয় হাওড়ার লিলুয়া স্টেশন। সোনারপুর, ব্যান্ডেলের মতো স্টেশন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ লোকাল ট্রেন। ফলে লোকাল ট্রেনের ওপর ভরসা করে যে সমস্ত মানুষ কাজে আসেন তারা পড়েছেন সমস্যায়। দীর্ঘদিন বসে থাকার পর রুটি রুজির টানে অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন বাইরে। জোর করেই উঠে পড়ছেন স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে। যেখানে রেলের কর্মচারী ছাড়া আর কারো ওঠার অনুমতি নেই। ফলে যাত্রীদের স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে না দিলেই হচ্ছে যাত্রী বিক্ষোভ।
যাত্রীদের দাবি, আমজনতাকে না নামিয়ে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চালাতে হবে। সেই ট্রেনে রেলকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে আমজনতাকে চাপতে দিতে হবে আর দ্রুত লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। সব যানবাহন এমনকি মেট্রো রেল যখন চলছে তখন লোকাল ট্রেন কেন চলবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।