দেদার ঠাকুর দেখে রাতে বাড়ি ফেরার চিন্তা নেই, পূজো স্পেশ্যাল ট্রেনের ঘোষণা রেলের
দেদার ঠাকুর দেখে রাতে বাড়ি ফেরার চিন্তা নেই, পূজো স্পেশ্যাল ট্রেনের ঘোষণা রেলের
পুজোর দামামা বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তিলোত্তমা নগরীর বেশিরভাগ পুজো মন্ডপই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়া থেকেই মন্ডপে মন্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নামতে শুরু করেছে। তারই মাঝে সুখবর শোনাল ভারতীয় রেল।
যাত্রী সুবিধার্থে
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে সপ্তমী থেকে নবমী হাওড়া স্টেশন থেকে রাতভর ট্রেন চলবে। রেল সূত্রে জানা গেছে, জেলা থেকে বহু মানুষই ঠাকুর দেখতে কোলকাতায় আসেন। ঠাকুর দেখতে অনেকটাই রাত হয়ে যায়। তাই ঠাকুর দেখার পর রাতে যাতে নিশ্চিন্তে সাধারণ মানুষ বাড়ি ফিরতে পারেন সেই কারণেই রেলের তরফে রাতভর ট্রেন চালানোর উদ্যোগ।
কী বলছে রেল?
রেল সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়বে রাত ১২.৪৫ মিনিটে ও রাত ১ টা'য়। ব্যান্ডেল থেকে হাওড়া আসার ট্রেন পাওয়া যাবে যথাক্রমে রাত ১১ টায় ও রাত সাড়ে ১১ টায়। অন্যদিকে, বর্ধমান মেন লাইনে রাত ১ টা ৫১ মিনিটে ট্রেন মিলবে। বর্ধমান থেকে রাত সাড়ে ১১ টায় হাওড়াগামী ট্রেন ছাড়বে। হাওড়া থেকে কর্ডের ট্রেন রাত ১.১৫ মিনিটে ছাড়বে। আর বধর্মান থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বরের ট্রেন ছাড়বে রাত ১২.২৫ মিনিটে এবং তারকেশ্বর থেকে রাত ১১ টার সময় হাওড়াগামী ট্রেন ছাড়বে।
রেলের পরিষেবায়
পুজোর সময় রেলের এহেন পরিষেবায় খুশি যাত্রীরাও। এক যাত্রীর কথায়, দু'বছর কোভিডের কারণে বহু মানুষই সেভাবে ঠাকুর দেখতে পাননি। তাই এবার পুজোয় অনেকেই কোলকাতায় সপরিবারে ঠাকুর দেখতে আসবেন। ঠাকুর দেখে রাতে বাড়ি ফেরার জন্য রেলের উদ্যোগকে সাধুবাদ।
নবরাত্রি চালু
দুর্গার হাতিতে চড়ে যাত্রা কিন্তু খুব শুভ কিন্তু কেন নবরাত্রিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এবারের নবরাত্রি শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। বলা হয় নবরাত্রি যদি সোমবার বা রবিবার থেকে শুরু হয় তাহলে মা কিন্তু গজেই আসেন। তাই এবার চলতি বছরে মা সোমবার আসছেন, তাই তিনি হাতিতেই আসছেন। মা যখন গজে আসেন তখন সমৃদ্ধি, সুখ নিয়েই আসেন। তাই এ সময় যে সকল ভক্ত মাকে মন থেকে ডাকবেন, মা তাদের মনের কথা শুনবেন এবং তাদের আর্থিক দিক এবং সমৃদ্ধির দিকে মা দেখবেন। মায়ের বিশেষ কৃপায় তাঁদের জীবনে অনেক উন্নতি হবে।
কোন সময়ে কী পুজো?
মা
(চন্দ্রঘণ্টা):
২৮
সেপ্টেম্বর,
চতুর্থী
(মা
কুষ্মাণ্ডা):
২৯
সেপ্টেম্বর,
পঞ্চমী
(মাতা
স্কন্দমাতা_:
২০
সেপ্টেম্বর,
ষষ্ঠী
০১
অক্টোবর
পর্যন্ত,
সপ্তমী
(মা
কালরাত্রি):
০২
অক্টোবর,
অষ্টমী
(মা
মহাগৌরী):
০৩
অক্টোবর,
নবমী
(মা
সিদ্ধিদাত্রী):
০৪
অক্টোবর,।দশমী
(মা
দুর্গা
প্রতিমা
বিসর্জন):
৫
অক্টোবর।
চতুর্থীতেই শহরে নামবে জনজোয়ার, পুজোর ভিড় সামাল দিতে আজ পথে নামছে ৯ হাজার পুলিশ