'ফেল করেও চাকরি করছে অনেকে'! টেট উত্তীর্নদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র নবান্ন
টেট উত্তীর্নদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র নবান্ন। নিয়োগ করা হবে বলেও কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই দাবিতেই টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা আজ বুধবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। আর তা ঘিরে ধুন্ধুমার।
টেট উত্তীর্নদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র নবান্ন। নিয়োগ করা হবে বলেও কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই দাবিতেই টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা আজ বুধবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। আর তা ঘিরেই একেবারে ধুন্ধুমার-কাণ্ড। নবান্নের সামনে বসেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন চাকরি প্রার্থীরা।
যদিও এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল নবান্নের সামনে।
বিক্ষোভ শুরু হতেই দ্রুত সেই বিক্ষোভ ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, একের পর এক আন্দোলনকারীকে দ্রুত আটক করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা তৈরি হয় বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পরেই নবান্নের সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৪ সালে টেট পাস করে চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু এরপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তবে এদিন আন্দোলনকারীকে বিস্ফোরক দাবি করেন। তাঁদের দাবি, এমন বহু পরীক্ষার্থী রয়েছেন যারা ফেল করেও চাকরি করছেন।
তদন্ত করলেই সমস্ত দুর্নীতি সামনে আসবে বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের। আর এহেন একাধিক অভিযোগে নবান্নের সামনে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী জোড়ো হয়। শুধু তাই নয়, নবান্নের সামনেই বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
কিন্তু বিশাল পুলিশবাহিনী তাঁদের দ্রুত আটক করে অবস্থান-বিক্ষোভ ছত্রভং করে তুলে দেয়। এমনকি একের পর এক বিক্ষোভকারীদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। যদিও পুলিশের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, শুধুমাত্র বিক্ষোভকারীদের তুলে দেওয়া হয়েছে নবান্নের সামনে থেকে।
আর তা ঘিরেই একেবারে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। অন্যদিকে খাদ্য ভবনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি। পরীক্ষায় পাস করেও নিয়োগ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, খাদ্য দফতরে সাব ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষার জন্য ২০১৮-য় বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। মাত্র ১০০ জনকে নিয়োগ করা হলেও কাউকে আর নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু ৯০০ জনেরও বেশি প্যানেলভুক্ত হয়েছিল বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। আর এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। আর এই অবস্থায় আজ চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।
একের পর এক বিক্ষোভে তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল।