ত্রিমুখী সমীকরণে নাজেহাল তৃণমূল, একুশের আগে ক্রাইসিস মেটাতে আসরে পিকে
২০২১-এর ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই নাকানিচোবানি অবস্থা তৃণমূলের। জেলায় জেলায় গোষ্ঠীকোন্দল বাড়ছে। এমনকী এই পরস্থিতি থেকে মুক্ত নয় কলকাতার প্রতিবেশী জেলা হাওড়াও। এখানেও গোষ্ঠীকোন্দল তীব্র আকার নিয়েছে। এতদিন অরূপ বনাম রাজীব ছিল, সেখানে জুড়েছে আর এক নতুন নাম লক্ষ্মীরতন শুক্লা।

উপায় খুঁজতে আসরে পিকে-অভিষেক
তৃণমূলে এখন ঘোর চিন্তা হাওড়ার নির্বাচনী ফল নিয়ে। যেভাবে হাওড়ায় তৈরি হয়েছে ত্রিমুখী সমীকরণ, তাতে মনোমালিন্য নিরসন কীভাবে সম্ভব তার উপায় খুঁজতে আসরে নেমেছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ২০২১-এর আগে এই ধরনের জটিলতা দূর করতেই হবে, তাই চিন্তায় তৃণমূল শিবির।

তৃণমূলে ছুঁচো গেলার মতো অবস্থা
অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোর। হাওড়ায় তিন নেতার মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক এখন তৃণমূলের কাছে ছুঁচো গেলার মতো অবস্থা হয়েছে। অরূপ রায়কে সরিয়ে লক্ষ্মনীরতন শুক্লাকে জেলা সভাপতি করে আরও জটিল করে দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি।

পরিস্থিতি সুখকর নয় তৃণমূলের জন্য
জেলায় তিন নেতার মন কষাকষি এমন জায়গায় পৌঁছচ্ছে যে হাওড়া সদরে অনেক আসন হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। বালি থেকে শিবপুর, উত্তর থেকে দক্ষিণ হাওড়ার পরিস্থিতি সুখকর নয় তৃণমূলের জন্য। তা অনুমান করেই প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন হাওড়ায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তড়িঘড়ি সঙ্কটমোচনে নেমেছেন তাঁরা।

হাওড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখেই আসরে পিকে
২০২১-এর আগে প্রশান্ত কিশোরের অঙ্ক মেনে অরূপ রায়কে সরিয়ে লক্ষ্মীরতনকে সভাপতি করা হয়। আর অরূপকে দেওয়া হয় চেয়ারম্যানের পোস্ট। পর্যবক্ষেক পদ তুলে দিয়ে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়। হাওড়ার কো-অর্ডিনেটর হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যে তিনজন জেরায় দায়িত্বে, তাঁদের মধ্যে কোনও মিল নেই। সাপে-নেউলে সম্পর্ক। তাই হাওড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখেই পিকে ফের নেমে পড়েন ময়দানে।

মুকুল-দিলীপদের বুথমুখী হওয়ান নিদান, ২০২১-এ বাংলার ভোটে ব্যাটন তবে কার হাতে