মমতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে, হাওড়ায় কাশফুল থেকে বালিশ তৈরি চলছে জোরকদমে
মমতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে, হাওড়ায় কাশফুল থেকে বালিশ তৈরি চলছে জোরকদমে
শরৎ মানেই নদীর পাড়ে কিংবা পথের ধারে কাশের সমাহার। কিছুদিন আগে কাশফুলকে নিয়েই শিল্পের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ভাবনাই বাস্তবায়নের পথে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা মোতাবেক কাশফুল থেকে বালিশ তৈরিতে উদ্যোগী হাওড়ার সাঁকরাইলের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী।
স্বনির্ভর গোষ্ঠী
জানা গিয়েছে, কাশের মরসুমে বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাশফুল সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন। বালিশ ও তোষক তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য সেগুলি রাখা হচ্ছে ধুলাগড়ের রাণী রাসমণি মহিলা সংঘে। জানা গেছে, কাশফুল তোলার পরই তা খুব দ্রুত নুয়ে পড়ে। ফলে খুব সন্তর্পণে তুলতে ও তা সযত্নে সংগ্রহ করতে হয়। কাশফুল তোলার পদ্ধতি ও তা সংগ্রহ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জ্রলা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সেন্টার থেকে বিশেষ দলও আসে।
কাশফুল
সূত্র মারফত জানা গেছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫ কেজি কাশফুল সংগ্রহ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে কাশফুলকে কাজে লাগিয়ে বালিশ তৈরির সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কাশফুলকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বালিশ তৈরি করা সম্ভব তা নিয়ে শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
হাওড়ায় কাশফুলকে কাজে লাগিয়ে বালিশ
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হাওড়ায় কাশফুলকে কাজে লাগিয়ে বালিশ ও তোষক তৈরি করে তা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে মহিলারা যেমন স্বনির্ভর হবেন তেমনই কাশফুলের ব্যবহারে নতুন দিশা দেখবে বাংলা।
স্কচ অ্যাওয়ার্ড
এবারের স্কচ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আবার বাংলাকে গর্বিত করল মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা। নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে স্কচ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হল বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। উল্লেখ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেছিলেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রতিশ্রুতি হিসেবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো ২৩ জুলাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন। তারপর ২০২১-এর সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে বাংলার মায়েদের অ্যাকাউন্টে অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দেওয়া হচ্ছে।
নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে স্কচ পুরস্কার পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। মমতা লেখেন- আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগে স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হওয়ার পর দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে তা রূপায়িত হয়। মাত্র এক মাসেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নথিভুক্ত মহিলার সংখ্যা দেড় কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। এই প্রকল্পের আওতায় তফসিলি জাতি-উপজাতির জন্য এক হাজার ও অন্যান্য নারীর ক্ষেত্রে মাসে ৫০০ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।