বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু, দেহ নিয়ে অবরোধে তুলকালামকাণ্ড জাতীয় সড়কে
অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তুলকালাম-কাণ্ড ঘটে গেল উলুবেড়িয়ায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জগৎপুরে জোড়া কলতলায় এই দুর্ঘটনার পর মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন উত্তেজিত বাসিন্দারা।
অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তুলকালাম-কাণ্ড ঘটে গেল উলুবেড়িয়ায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় জগৎপুরে জোড়া কলতলায় এই দুর্ঘটনার পর মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন উত্তেজিত বাসিন্দারা। এর ফলে জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে যান চলাচল। রোগী, ছাত্রাছাত্রী-সহ সমস্ত নিত্যযাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।
শনিবার সাত সকালে মেয়ে টুসুকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় গৃহবধূ অপর্ণা পাড়াল (৪০)। তিনি মেয়েকে নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারেই দাঁড়িয়েছিলেন। সেইসময় অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আসা একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ন্ত্রণ হারিযে প্রথমে এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। তারপর মা ও মেয়েকে ধাক্কা মারে। মা ও মেয়ের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। জখন সাইকেল আরোহী উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি।
এরপরেই উত্তেজিত জনতা মা ও মেয়ের দেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। ঘাতক অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় পথ অবরোধ। তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। বহু রোগী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আটকে পড়ে। জাতীয় সড়কের দু-ধারে লম্বা লাইন পড়ে যায়। তা সত্ত্বেও অবরোধকারীরা মৃতদেহ রাস্তার উপর থেকে তুলতে দেয়নি পুলিশকে।
অবরোধীকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জোড়াকলতায় আন্ডারপাসের দাবি জানানো হয়। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আন্ডারপাস থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না বলে দাবি তাঁদের। প্রশাসনের তরফে যতক্ষণ না প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ অবরোধ তোলা হবে না বলে তাঁদের দাবি।
শনিবার সাতসকালে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে তাকা মা-মেয়েকে পিষে দেওয়ার পর পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। পুলিশকে মৃতদেহ তুলতে দেওয়া হয়নি। অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে আরও পুলিশবাহিনী পাঠানো হয়। খড়গপুরগামী লেনের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন ওই মা ও মেয়। বৃত্তি পরীক্ষা থাকায় মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যে দুর্ঘটনা কেড়ে নিল মা ও মেয়ের প্রাণ।
দীর্ঘ অবরোধের পর মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। অবরোধকারীদের দাবি, এমন দুর্ঘটনা এই এলাকায় নতুন নয়। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিনেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। গতকালও দুই বাইক আরোহী দুর্ঘটনায় আহত হন। বারবার একই ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। কোনও তৎপরতা নেই। রীতিমতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পেরোতে হয় এই এলাকায়। স্কুল পড়ুয়ারাও বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পারাপার করে।