গ্রামে মাথাচাড়া দিচ্ছে চোলাইয়ের ব্যবসা, ঠেক ভাঙলেন মহিলারা
গ্রামে মাথাচাড়া দিচ্ছে চোলাইয়ের ব্যবসা, ঠেক ভাঙলেন মহিলারা
গ্রামে রমরমিয়ে চলছে চোলাই মদের ব্যবসা। তার জেরে এলাকার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনই মাঝেমধ্যেই অশান্তির ঘটনাও ঘটছে। চোলাইয়ের এই রমরমা ব্যবসা বন্ধ করতে এবার এগিয়ে এলেন স্থানীয় মহিলারা। অভিযোগ, উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের তুলসীবেড়িয়া গ্রামের সর্দারপাড়া, বাসস্ট্যান্ড চত্বর, শিবতলা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে চোলাই মদের ব্যবসা চলছে।
সেই চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে অভিযান চালালো তুলসীবেড়িয়া মহিলা সমিতি নামক একটি সংগঠনের মহিলারা। সংগঠনের সদস্যাদের পাশাপাশি এলাকার মহিলারাও এই অভিযানে সামিল হয়েছিলেন। মহিলারা একত্রিত হয়ে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় বেশ কয়েকটি চোলাইয়ের ঠেকে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ চোলাই নষ্ট করে দিলেন। সংগঠনটির তরফে কল্যানী পালুই জানান, তুলসীবেড়িয়া গ্রামের চারটি জায়গায় রমরমিয়ে চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে। এর জেরে এলাকার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এর বিরুদ্ধে এলাকায় সচেতনতার প্রচার চালিয়েও কোনোভাবে চোলাই ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছেনা।
তিনি আরও জানান, চোলাইয়ের ঠেক বন্ধ করতে পুলিশের পাশাপাশি আমরাও মাঝে মধ্যে অভিযান চালাই। অভিযানের পর কিছুদিন ব্যবসা বন্ধ থাকে। তারপর আবার রমরমিয়ে চোলাইয়ের ব্যবসা শুরু হয়ে যায়। গ্রামের মহিলাদের সাথে নিয়ে বেশ কয়েকটি ঠেকে অভিযান চালিয়ে চোলাই নষ্ট করা হয় বলে তিনি জানান। আগামী দিনেও এই অভিযান জারি থাকবে বলে তিনি জানান।
সম্প্রতি ঘুষুড়িতে ছয়জনের মৃত্যু হয় এই চোলাই খেয়েই। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছিল হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ার ঘুসুড়ি এলাকায় গজানন্দ বস্তিতে। মদ খেয়ে অসুস্থদের ঘুসুড়ির জয়সোয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। তবে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর ছিল। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।
কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেও গোটা ঘটনা জানার চেষ্টা পুলিশ আধিকারিকরা করছেন বলে খবর ছিল। যদিও ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনায় সে বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে মদ থেকেই বিষক্রিয়া কিনা তা নিশ্চিত হতে চোলাই মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। সেগুলিকে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছিল বলেও জানা যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর মদ তৈরির উপকরণ বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। এমনকি উদ্ধার করা হয়েছিল বোতলও। ফলে সেখানে শুধু বিক্রি নয়, জাল মদ তৈরি হত বলেও অভিযোগ ছিল।