চন্দননগরে সদ্যোজাতের দেহ লোপাটের মামলায় হাইকোর্টের নয়া নির্দেশ
চন্দননগরে সদ্যোজাতের দেহ লোপাটের মামলায় হাইকোর্টের নয়া নির্দেশ
আরজিকর হাসপাতাল থেকে চন্দননগরের সদ্যোজাতের দেহ লোপাটের মামলায় পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই
নির্দেশের
পাশাপাশি,
ডিএনএ
টেস্টের
রিপোর্ট
জমা
দেওয়ার
নির্দেশ
দিয়েছে
আদালতে।
ঘটনা
প্রসঙ্গে
মামলাকারীর
পক্ষে
আইনজীবী
জানান,
চন্দননগরের
বাসিন্দা
দেবযানী
মণ্ডল
ও
বাবুন
মণ্ডলের
সদ্যোজাতকে
আরজি
কর
মেডিক্যাল
কলেজে
ভর্তি
করানো
হয়।
শিশুটিকে
ইন্টেন্সিভ
কেয়ার
ইউনিটে
রাখা
হয়।
ভর্তির
পর
থেকেই
মা
ও
বাবাকে
দেখতে
দেওয়া
নিষেধ
ছিল।
এর
মধ্যে
২৩
থেকে
২৫
জুনের
মধ্যে
চিকিৎসকের
পরামর্শে
বেশ
কয়েকবার
বাচ্চাটির
মায়ের
দুধ
সংগ্রহ
করা
হয়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যে রোজ চন্দননগর থেকে হাসপাতালে এসে সন্তানের জন্য স্তন্যদুগ্ধ দিয়ে দিয়েছেন মৃত শিশুটির মা। তবে বেশ কয়েকদিন ওই সদ্যোজাত শিশুকে আর দেখা করতে না দেওয়ায় ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হলে বাচ্চাটির বাবা জোর করে ওই বিভাগে ঢোকেন। বাচ্চাদের সজ্জার কাছে গিয়ে দেখেন সেখানে তার সন্তান নেই।
২৫ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, গত ১৫ জুন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২৬ জুন মর্গে বাবাকে নিয়ে গিয়ে শিশুকে চিহ্নিত করতে বলা হয়।
কিন্তু বাবা মর্গে গিয়ে শিশুর পচা,গলা মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন। তিনি পোস্ট মর্টেম ও ডিএনএ পরীক্ষার দাবী জানান। তাঁর প্রশ্ন ছিল ১৫ জুন মারা গেলেও কেন ২৫ জুন বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তবে কার জন্য মায়ের দুধ সংগ্রহ করা হল ? আর এতো দিন জানানো হল না কেনো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিশুটির পরিবার। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব না দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিশুর পরিবার। মামলার গত শুনানিতে রাজ্যের কাছে এই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত।
আদালতে পেশ করা রিপোর্ট প্রসঙ্গে ঋণ রাজ্যের তরফ এডভোকেট জেনারেল জানান, শুধুমাত্র একজন ওয়ার্ডবয়ের ভুলের জন্যই শিশুটির পরিবার গোটা ঘটনা থেকে বিরত থেকেছে। শিশুটির পরিবার কি খবর দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ওই ওয়ার্ডবয়ের কিন্তু সে ভুল করে পরিবারকে জানায়নি।
তার প্রেক্ষিতে, 'এই ঘটনায় কারোও কোনও ভুল থাকলে কাউকে রেয়াত করা হবে না' বলে মন্তব্য করে ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, যদি রিপোর্ট ঠিকঠাক না থাকে সে ক্ষেত্রে আদালত রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হবে।
মামলার গত শুনানিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট সে বিষয়েও রাজ্য কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় রাজ্যের উপর অসন্তুষ্ট আদালত।
তৃণমূল শত্রু, কিন্তু বিজেপিই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী! কংগ্রেসকে নিয়ে বামেদের অভিযান শুরু