গেরুয়া শিবিরের নেতাকে 'গুন্ডা' বলে সম্বোধন! বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর, 'হামলা' বন্ধে অবস্থানে কল্যাণ
ভোট আসছে, উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলা। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কোনও কোনও দিন আবার একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা। এমনই এক ঘটনা ঘটল শ্রীরামপুরে। যা নিয়ে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল ( trinamoo congress) ও বিজেপি (bjp)। যা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (kalyan banerjee) অবস্থানে বসতেও দেখা যায়।
মেদিনীপুরে সভা মমতার! কারা উপস্থিত, কারা নয়, শুভেন্দুকে নিয়ে কোন বার্তা, জল্পনা তুঙ্গে

রণক্ষেত্র শ্রীরামপুর
রবিবার রাতে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কবীরশঙ্কর বসুর ওপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। শ্রীরামপুরের বল্লভপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন কবীরশঙ্কর বসু। তিনি জানিয়েছেন, রবিবার যখন তিনি ফ্ল্যাট থেকে বেরোচ্ছিলেন, সেই সময় রাস্তায় আটকে বসে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পাপ্পু সিং এবং তাঁর অনুগামীরা। সেই সময় নেতার দেহরক্ষীরা সরে যেতে বলেন। পাল্টা হামলা করে তৃণমূল কর্মীরা। এরপরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

'আক্রান্ত' বিজেপি নেতা
সেই সময় ফ্ল্যাটের নিচে রাখা কবীরশঙ্কর বসুর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করেন বিজেপির নেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানরা। তৃণমূল তাঁর ওপরে হামলার পাশাপাশি, গাড়ি ভাঙচুর করেছে, ফ্ল্যাটেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন কবীর শঙ্কর বসু। তিনি বলেন এইভাবে বিজেপিকে ভয় পাওয়ানো যাবে না।

বিজেপি নেতাকে গুণ্ডা বলে সম্বোধন
খবর পেয়েই এলাকায় যান স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, এলাকার রাস্তা সারাতে বিজেপি নেতার ফ্ল্যাটের নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। সেই সময় সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা তাঁদের ওপরে হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা কবীর শঙ্কর বসুকে তিনি গুণ্ডা বলে সম্বোধন করেন।

শ্রীরামপুরে অশান্তি পাকাতে দেবেন না
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন এই বিজেপি নেতার সঙ্গে রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এলাকায় অশান্তি পাকাতেই ওই বিজেপি নেতাকে এলাকায় পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, তিনি থাকতে শ্রীরামপুরে কোনও রকমের অশান্তি ছড়াতে দেবেন না। বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করে তিনি বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভেও সামিল হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে।

সাম্প্রতিক সময়ে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যপালকে আক্রমণ
সাম্প্রতিক সময়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরব থাকতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যপালকে নিয়ে। দিন দুয়েক আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন , পশ্চিমবঙ্গে যত ক্রিমিনাল রয়েছে, তাদের সঙ্গে সব থেকে বেশি যোগাযোগ রয়েছে যাঁর তিনি হলেন জগদীপ ধনখড়। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ ছিল, উনি (রাজ্যপাল) রাজভবনে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেন এবং তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, গেলে তাড়াতাড়ি যাও, শেষ দিন পর্যন্ত ভোগ করে যেও না।