করোনা কাঁটা কাটিয়ে প্রস্তুত ওঁরা, মন্দার বাজারে লাভের আশায় শুরু লক্ষ্মী আরাধনার প্রস্তুতি
Array
হাওড়া জেলার আমতা দুই নম্বর ব্লকের খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়, মল্লিক, রীত, দত্ত বাড়ি ও বিভিন্ন ক্লাব, সমিতি, সংঘে লক্ষী পুজোর প্রস্তুতি চলছে। খালনা নদী মাতৃক হওয়ায় দামোদর নদী, রূপনারায়ণ নদী, মুণ্ডেশ্বরী নদী, হুড়হুড়িয়া খাল, বেগুনেঘাটা দহ , সর্টকাট চ্যানেল দিয়ে ঘেরা পূর্বে ও এখন ।
তখন নদ , নদী দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করতো এলাকার মানুষ জন। সেই থেকে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর চল চলে আসছে। গৃহে গৃহে ও বারোয়ারী পুজো, সর্বজনীন পুজো, ক্লাব , সমিতি, সংঘে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান, খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মেলা ও হাজারো বিকিকিনির সম্ভার নিয়ে ডালি পসরা সাজিয়ে বসে বিক্রেতারা। কয়েক মাস ধরে নিজেরাই নিজেদের মতো করে লক্ষ্মী ঠাকুর, মণ্ডপ, আলোক সজ্জায় ভরিয়ে তোলে। গত কয়েক বছর করোনার কারনে জয়পুর থানার লক্ষ্মী গ্রাম খালনায় লক্ষ্মী পুজোয় কিছুটা হলেও ছাপ পড়েছে।
ছোট ,বড়, মাঝারি, বিগ বাজেটের মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ থেকে সত্তরটি ও বিভিন্ন বাড়িতেও লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান খালনার প্রাক্তন প্রধান গৌতম চক্রবর্তী। আজকে খালনা এলাকায় লক্ষ্মীপূজার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে দেখা গেল এলাকায় এলাকায় প্রস্তুতি চলছে কোথাও মণ্ডপ তো আবার কোথাও কোথাও মণ্ডপ ও লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।
ষাট সদস্যের খালনা মিতালী সংঘ , আটত্রিশ তম বর্ষপূর্তি মণ্ডপ তৈরি ও প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। ভারতের ইণ্ডিয়া গেটের আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হবে, বস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানান সন্দীপন দাশ। বাংলার লক্ষীগ্রাম খালনার পুজো উদ্যোক্তারা আশাবাদী কোভিড বিধি মেনে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাবে। পর্যাপ্ত পানীয় জল, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে বিভিন্ন পুজো কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
শোনা যায়, একসময় এই গ্রাম ভাসত বন্যায়। মাঠেই নষ্ট হত ফসল। তখন কাজের খোঁজে শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন গ্রামের অনেকে। এরপই গ্রামে লক্ষ্মীর আরাধনা শুরু। গ্রামে দুর্গাপুজো হয় হাতে গোনা। লক্ষ্মীপুজোর জন্যই সারাবছর অপেক্ষা। একশোর বেশি বারোয়ারি পুজো। তার মধ্যে চল্লিশের বেশি বড় বাজেটের পুজো। আর এভাবেই পালিত হয় লক্ষ্মী পূজা।