হাওড়ার শিবপুরের আবাসনে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, পাণ্ডে ভাইদের খোঁজে লুক আউট নোটিস
রাত ভর টাকা গুনল পুলিশ, হাওড়ার শিবপুরের আবাসনে পাণ্ডে ভাইদের ফ্ল্যাট থেক উদ্ধার কোটি কোটি টাকা
ফের কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হাওড়ায়। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট পাণ্ডে ভাইয়েদের হাওড়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত হাওড়ার শিবপুরে পাণ্ডে ভাইয়েদের অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু পাণ্ডে ভাইদের হদিশ মেলেনি পাওয়া যায়নি তাঁদের পরিবারের কোনও ব্যক্তির খোঁজও।
বিপুল টাকা উদ্ধার
হাওড়ার শিবপুরে অভিজাত আবাসনে হানা দিয়ে বিপুল টাকার হদিশ পেয়েছে পুলিশ। খিদিরপুরে আমির কাণ্ডের মতই কোটি কোটি টাকার হদিশ মিলেছে হাওড়ার শিবপুরে শৈলেশ পাণ্ডে, রোহিত পাণ্ডে এবং অরবিন্দ পাণ্ডের ফ্ল্যাট থেকে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুধু মন্দির তলার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং শিবপুর আবাসনের গ্যারেজ ও হাওড়ার মন্দিরতলার ফ্ল্যাট মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। শিবপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২ কোটি টাকা। প্রচুর সোনার গয়না। হিরে, সোনার গয়না নগদ প্রায় ৬ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।
লুক আউট নোটিস জারি
কোটি কোিট নগদ টাকা উদ্ধার হলেও পাণ্ডে ভাইদের কিন্তু হদিশ পায়নি পুলিশ। গতকালই তাঁরা ফ্ল্যাট ছেড়ে চম্পট দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। শিবপুরের ফ্ল্যাটে পাণ্ডে ভাইদের মাও থাকতেন। কিন্তু পুলিশ গতকাল রাতে পৌঁছনোর আগেই সেখান থেকে সকলে চম্পট দিয়েছেন বলে অনুমান। পাণ্ডে ভাইরা যাতে বিদেশে কোথাও পালিয়ে যেতে না পারেন সেকারণে জারি করা হয়েছে লুক আউট নোটিস। এবার আগে থেকেই তৎপর লালবাজার
কোথায় কত টাকা উদ্ধার
একেবারে আমির খান কাণ্ডের ছায়া হাওড়ায়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিপুল আর্থিক লেনদেন দেখেই টনক নড়ে ব্যাঙ্কের। তারপরেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। খবর পেয়ে আর দেরি করেনি লালবাজার। আর তার সন্ধানেই চমকে যাওয়ার মত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পাণ্ডে ভাইদের শিবপুরের আবাসনের গ্যারেজে রাখা গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ নগদ টাকা। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা ও হীরের গয়না। ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে পুলিশ। গতকাল রাতে শিবপুর মন্দিরতলায় ফ্ল্যাট হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথিপত্র। ফ্ল্যাটের বক্স খাটের মধ্যে থরে থরে সাজানো ছিল কোটি কোটি টাকা।
কী ভাবে এলো এই বিপুল টাকা
পুলিশের অনুমান পাণ্ডে ভাইয়েরা কালো টাকা সাদা করার কাজ করত। বিদেশ থেকে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসত। অথচ প্রতিবেশীরা তার কোনও খবরই জানতেন না. এক কথায় হতবাক প্রতিবেশীরা। মন্দিরতলার ফ্ল্যাটেই শুধু তল্লাশি চালিয়ে নগদে ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ৩৫, অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের শৈলেশ পান্ডের ভাইয়ের শিবপুর মন্দিরতলার ফ্ল্যাটেও রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত রেইড হয়। শৈলেশ পান্ডের ভাই রোহিত পান্ডের অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের ওই ফ্ল্যাটে গোয়েন্দারা রাতে তল্লাশি শুরু করেন। গভীর রাতে সেই তল্লাশি শেষে টাকা উদ্ধারের পর ফ্ল্যাটটি সিল করেও দেওয়া হয়। এই ফ্ল্যাটে শৈলেশের পরিবার থাকতেন। রোহিতও আসতেন সেখানে। শনিবার রাতেও হাওড়ার শিবপুরের একটি আবাসনে রাখা গাড়ি থেকে ২ কোটি ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছিল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ।