ফ্ল্যাটে ঝুলছে বাবার দেহ, রক্তাক্ত মা পড়ে মাটিতে! আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে ২ মেয়ে জানাল কারণ
হাওড়ার (Howrah) চ্যাটার্জিহাটের (Chatterjeehat) একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধারের চাঞ্চল্য। গৃহকর্তার দেহ ছিল ঝুলন্ত অবস্থায় আর গৃহকত্রীর দেহ ছিল ঘরের মেঝেতে পড়ে। আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে দুই মেয়ে (daughter)
হাওড়ার (Howrah) চ্যাটার্জিহাটের (Chatterjeehat) একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধারের চাঞ্চল্য। গৃহকর্তার দেহ ছিল ঝুলন্ত অবস্থায় আর গৃহকত্রীর দেহ ছিল ঘরের মেঝেতে পড়ে। আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে দুই মেয়ে (daughter) আশপাশের লোকজনদের ডাকে। এরপরেই পুলিশ যায় সেখানে। দরজা ভেহে দেহ (body) দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ড্রয়িং ক্লাসে গিয়েছিল দুই মেয়ে
এদিন
দুপুরে
২২/২
নন্দলাল
মুখার্জি
সেনের
ফ্ল্যাট
থেকে
দম্পতির
দেহ
উদ্ধার
করা
হয়।
দুপুর
আড়াইটে
নাগাদ
আঁকার
ক্লাস
থেকে
ফিরে
দুই
মেয়ে
দেখে
ঘরের
দরজা
ভিতর
থেকে
বন্ধ।
কলিং
বেল
বাজিয়েও
কেউ
দরজা
না
খোলায়
পুলিশে
খবর
দেন
স্থানীয়রা।
পুলিশ
এসে
দরজা
ভেঙে
দেখে
সিলিং
ফ্যানের
সঙ্গে
থুলন্ত
অবস্থায়
রয়েছেন
গৌতম
মাইতি
আর
মেঝেয়
মৃত
অবস্থায়
পড়ে
মৌসুমী
মাইতি।
অনুমান স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী গৌতম মাইতি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া গৌতম মাইতি হাওড়ারই একটি পানশালায় কাজ করতেন। দুই মেয়ে হাওড়ার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নবম ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের প্রাথমিত অনুমান স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন গৌতম মাইতি।
মেয়ের প্রতিক্রিয়া
আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে এই দৃশ্য দেখে স্বভাবতই নিজেকে সামলে রাখতে পারেনি বড় মেয়ে। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে কাঁদতে কাঁদতে সে বলেছে, তার মা ফেসবুক দেখতো। অনেক সময়ই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকত। যা নিয়ে বাবার প্রবল আপত্তি ছিল। বাবা বলতেন, ফেসবুক না দেখে, মেয়েদের পড়াতে। মা তা করলেও হয়তো বাবার তাতেও কোনও সমস্যা হচ্ছিল বলে মন্তব্য করেছে বড় মেয়ে। এই বিষয়টিই যে বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তির কারণ তা জানিয়েছে বড় মেয়ে। স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, গৌতম মাইতি সারাদিনই ব্যস্ত থাকতেন। রাত ১০ টা নাগাদ বাড়িতে ফিরতেন।
মনোবিদদের প্রতিক্রিয়া
মনোবিদরা
বলছেন,
যদি
সোশ্যাল
মিডিয়ার
আশক্তির
কারণে
এই
ঘটনা
হয়ে
থাকে
তাহলে
তা
মর্মান্তিক।
সোশ্যাল
মিডিয়া
ব্যবহারে
অনেক
পরিবারেই
অশান্তি
রয়েছে।
তা
যেমন
রয়েছে
স্বামীর
সঙ্গে
স্ত্রীর,
অন্যদিকে
তা
রয়েছে
অভিভাবকের
সঙ্গে
পড়ুয়া
ছেলে
মেয়েদেরও।
তবে
অশান্তির
কারণেই
স্ত্রীকে
খুন
করে
গৌতম
মাইতি
গলায়
দড়ি
দিয়েছেন
কিনা
তা
খতিয়ে
দেখছে
পুলিশ।
মেয়েদের
জিজ্ঞাসাবাদ
করার
পাশাপাশি
আত্মীয়দেরও
জিজ্ঞাসাবাদ
করে
খুনে
কারণ
সম্পর্কে
নিশ্চিত
হতে
চাইছে
পুলিশ।
ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই কলকাতায় বাড়ছে সক্রিয় আক্রান্ত ও মৃত্যু! একনজরে জেলাগুলির করোনা আপডেট