কেমন হবে এবারের চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো! একনজরে কিছু তথ্য
কেমন হবে এবারের চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো! একনজরে কিছু তথ্য
এবছর দুর্গাপুজোয় পুজো মণ্ডপে কলকাতা হাইকোর্টের 'নো এন্ট্রি' নির্দেশিকার পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। কালী পুজোয় বাজি পোড়ানোর নির্দেশিকা জারির পর এবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার ভাসানেও করোনা স্বাস্থ্য-সুরক্ষা বিধি মেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন। জগদ্ধাত্রী পুজাতে জগৎ বিখ্যাত দুই নগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। কথা বলে দেখা যাচ্ছে, দুই শহরের লোকদের গর্ব দুটো জায়গায়।
কৃষ্ণনগরের
লোকেরা
বলেন,
কৃষ্ণনগরের
নদিয়া
মহারাজা
কৃষ্ণচন্দ্রের
হাত
ধরে
জগদ্ধাত্রী
পুজো
শুরু।
চন্দননগরের
গর্ব,
পরে
শুরু
করেও
তাঁরা
ছাপিয়ে
গিয়েছেন
অন্য
নগরকে।
কিন্তু
এবছর
করোনার
থাবায়
জৌলুস,
আরম্বর
হারিয়ে
সাদামাটাই
হচ্ছে
দুই
নগরের
জগদ্ধাত্রী
পুজো।
তাতেও
থাকছে
নানা
সর্তকতা।
তার
উপর
ভাসান
উপলক্ষে
যে
আবেগ
উচ্ছ্বাস
উপচে
পড়ে
এবছর
সেটাও
থাকছে
না।
কারণ
ইতিমধ্যেই
করনা
স্বাস্থ্য-সুরক্ষা
বিধি
ঠিক
রাখতে
ভাসানী
নিষেধাজ্ঞা
জারি
করেছে
প্রশাসনের
তরফে।
সরকারি
হিসেব
বলছে
চন্দননগরে
১৪৯টি
বারোয়ারি
পুজো
এ
বার।
অবিশ্বাস্য
লাগলেও,
কৃষ্ণনগর
সেখানে
চন্দনগরের
থেকে
এগিয়ে।
এ
বারের
হিসেব,
বারোয়ারি
পুজোর
সংখ্যা
সেখানে
১৬৩
টি।
বাড়ির
পুজো
৪২।
চন্দননগরের
লোকেরা
বলছেন,
তাঁদের
পুজোর
সঙ্গে
ধরতে
হবে
লাগোয়া
ভদ্রেশ্বরের
হিসেব।
সেখানে
বারোয়ারি
৪২।
কৃষ্ণনগরে
সবচেয়ে
পুরোনো
পুজো
অবশ্যই
রাজবাড়ির।
১৭৫৬
থেকে
১৭৬৩
সালের
মধ্যে
কোনও
সময়।
বারোয়ারির
নাম
উঠলে
নাম
শোনা
যায়,
চকের
পাড়ার
'আদিমা'র।
তবে
চাষা
পাড়ার
বুড়িমা
দেবী
মিথে
পরিণত
বলে
সেখানে
ভক্তের
সংখ্যা
বেশি।
বয়সে
সামান্য
হেরফের।
এ
নগরে
যেমন
দুই
'মা'
নিয়ে
হিসেব
কষাকষি,
চন্দননগরে
আবার
বয়স
নিয়ে
চর্চায়
দুই
পট্টি।
চাউল
পট্টি
এবং
কাপড়ে
পট্টি।
চন্দননগরে
আলোর
সাজ
আন্তর্জাতিক
স্তরে
প্রসিদ্ধ
হলে
কৃষ্ণনগরের
গর্ব
আবার
তাদের
বিখ্যাত
মৃৎশিল্পীদের
প্রতিমা।
দেবীর অঙ্গ সজ্জায় আছে এখানকার নিজস্ব ঘরানার ভুবন ভোলানো ডাকের সাজ। যা কিন্তু সোলার সাজের তুলনায় আলাদা। চন্দনগরে আবার দেখা যায়, দু'ধরনের প্রতিমা। কুমোরপাড়ায় এক রকম, কুণ্ডু ঘাটে এক রকম।কিন্তু এসব কে ছাড়িয়েও এবছর চন্দননগরের গর্ব দশমীর বিসর্জন দেখা যাবে না।
কৃষ্ণনগরে দেখার মতো ব্যাপার, সেদিন সকালের ঘট বিসর্জন। শুধু দেবীর মঙ্গল ঘট বিসর্জন এতই বর্ণাঢ্য যে মনে হবে এটাই বড় কার্নিভাল। সেটা তো এবার লাগাম দিয়েছে পুর প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ নাগরিক বৃন্দের জাতীয় উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো নিশ্চিতভাবে এবারও হবে কিন্তু বেশকিছু নিয়মনীতি পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে। কোন জমায়েত করা চলবে না এবার। জনসমাগম মূলক কোন অনুষ্ঠান কোন অবস্থাতেই করা যাবে না। বন্ধ রাখতে হবে ঐতিহ্যবাহী ঘট বিসর্জনের সমস্ত অনুষ্ঠান, এমনই নির্দেশ, এবার কৃষ্ণনগর পৌরপ্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পৌর প্রশাসক অসীম সাহা জানান, ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত পুজো আয়োজক ক্লাব সহ বারোয়ারী কমিটি গুলির সঙ্গে বসে নির্দেশিকা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জগদ্ধাত্রী পুজো, কৃষ্ণ নাগরিক বৃন্দের জাতীয় উৎসব। তা সত্যেও আগে বেঁচে থাকা তারপর উৎসব,ফলে জাতীয় উৎসব হলেও ভবিষ্যতের লক্ষে বেঁচে থাকার তাগিদে দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে এবার জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে বেশকিছু পরিবর্তন স্থানীয়স্তরে প্রশাসন আনতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সাঙ সহ বিসর্জনের শোভাযাত্রা বন্ধ থাকছে এবার। বাহকদের কাঁধে চাপিয়ে কোন প্রতিমা এবার নিরঞ্জন করা যাবে না। প্রয়োজনে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিসর্জন ঘাটে অতিরিক্ত পরিষেবা প্রদানের জন্য কমপক্ষে ষাটজন বেয়ারা অর্থাৎ বাহক মজুত রাখা হবে। কোন প্রতিমাই এবার রাজবাড়ী মুখী হবে না, এমনকি বুড়িমাকে ও শহর পরিক্রমা না করিয়ে সরাসরি বিসর্জন ঘাটে নিয়ে যেতে হবে।
এমনিতেই নদীয়া জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক,দিন দিন বেড়েই চলেছে, এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত ঝুঁকি নিতে নারাজ।
টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক বিজেপি সাংসদের সংস্থা পুলিশের নজরে! অবৈধ জমি দখল ঘিরে খুর্দায় পারদ তুঙ্গে