দেবীপক্ষে মহিষাসুরমর্দিনী, উলুবেড়িয়া কলেজে প্রাক-শারদোৎসব
দেবীপক্ষে মহিষাসুরমর্দিনী, উলুবেড়িয়া কলেজে প্রাক-শারদোৎসব
চারিদিকে সাজো সাজো রব। বাংলার গ্রাম থেকে শহর আজ আনন্দমুখর। উৎসবের এই আনন্দঘন মুহুর্তকে বরণ করতে এগিয়ে এলো ছাত্রছাত্রীরা। উলুবেড়িয়া কলেজের সংস্কৃত বিভাগের পড়ুয়াদের উদ্যোগে কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল প্রাক-শারদোৎসব।
মঙ্গলাচারণের
বিভাগীয় ছাত্রছাত্রীদের মঙ্গলাচারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এদিনের অনুষ্ঠান। নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশন করেন স্নেহা, মৈত্রেয়ী, মেঘারা৷ এই অনুষ্ঠানের অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল বিভাগীয় ছাত্রছাত্রীদের মহিষাসুরমর্দিনী নৃত্য পরিবেশন। সুবোধ, অর্পিতা, সুতপাদের মহিষাসুরমর্দিনী নৃত্য সকলের মন জয় করে নেয়। বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হেমন্ত ত্রিপাঠী জানান, শারদোৎসবকে বরণ করতেই এই উদ্যোগ।
দুর্গাপুজো আসতে হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। এই উৎসব হিন্দুদের খুব বড় উৎসব। এই দিনের জন্য সারা বছর ধরে মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। মা দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয় নটি দিন। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শারদীয়ার নবরাত্রি শুরু হয়। এই সময়টি বিশেষ শুভ। নবরাত্রি বছরের চারবার পালিত হয়। যার দুটি হল গুপ্ত নবরাত্রি এবং দুটি হল নবরাত্রি চৈত্র এবং শারদীয়া সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এই নবরাত্রির। এটি শেষ হবে ৫ অক্টোবর অর্থাৎ বিজয় দশমীর সময়। এই সময়ে মা দুর্গার নটি রূপের বিশেষ পুজো হয়।
শাস্ত্র কী বলছে?
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয় মা দুর্গার ন'দিন ভক্তদের জন্য পৃথিবীতে আসেন এবং তাদের ওপর বিশেষ আশীর্বাদ করে থাকেন। মায়ের কৃপায় অনেকেই জীবনের দুঃখ কষ্ট দূরে চলে যায় এবং যে ভক্ত মন দিয়ে মাকে ডাকেন সে জীবনে সফলতা পান। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নবরাত্রিকে খুব বিশেষ বলে মনে করা হয়। এবার চলতি বছরে মা দুর্গা আসছেন হাতিতে চড়ে। যা কিন্তু খুব শুভ।
হাতিতে চড়ে যাত্রার ফল
দুর্গার হাতিতে চড়ে যাত্রা কিন্তু খুব শুভ কিন্তু কেন নবরাত্রিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এবারের নবরাত্রি শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। বলা হয় নবরাত্রি যদি সোমবার বা রবিবার থেকে শুরু হয় তাহলে মা কিন্তু গজেই আসেন। তাই এবার চলতি বছরে মা সোমবার আসছেন, তাই তিনি হাতিতেই আসছেন। মা যখন গজে আসেন তখন সমৃদ্ধি, সুখ নিয়েই আসেন। তাই এ সময় যে সকল ভক্ত মাকে মন থেকে ডাকবেন, মা তাদের মনের কথা শুনবেন এবং তাদের আর্থিক দিক এবং সমৃদ্ধির দিকে মা দেখবেন। মায়ের বিশেষ কৃপায় তাঁদের জীবনে অনেক উন্নতি হবে।
পুজোর নির্ঘন্ট
মা
(চন্দ্রঘণ্টা):
২৮
সেপ্টেম্বর,
চতুর্থী
(মা
কুষ্মাণ্ডা):
২৯
সেপ্টেম্বর,
পঞ্চমী
(মাতা
স্কন্দমাতা_:
২০
সেপ্টেম্বর,
ষষ্ঠী
০১
অক্টোবর
পর্যন্ত,
সপ্তমী
(মা
কালরাত্রি):
০২
অক্টোবর,
অষ্টমী
(মা
মহাগৌরী):
০৩
অক্টোবর,
নবমী
(মা
সিদ্ধিদাত্রী):
০৪
অক্টোবর,।দশমী
(মা
দুর্গা
প্রতিমা
বিসর্জন):
৫
অক্টোবর।
পট শিল্পকে উজ্জীবিত করতে মণ্ডপ, দ্বারদ্ঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী