প্রকাশ্যে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ! প্রতিবাদী বাবাকে একেবারে পিটিয়ে খুন দুষ্কৃতীদলের
প্রতিবাদী বাবাকে একেবারে পিটিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বাংলার বুকে ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ! প্রতিবাদী বাবাকে একেবারে পিটিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুর এলাকাতে। মৃত ব্যক্তির নাম গণেশ মণ্ডল বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘিরেও শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক আরও দুই অভিযুক্ত। যদিও পলাতকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গাতে খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকরা।
জামা কাপড় ধরেও অভিযুক্তরা টানামানি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ
মৃতের পরিবারের দাবি, মৃত গণেশ মন্ডলের মেয়ে যখন সাইকেল নিয়ে টিউশন পড়ে ফিরছিল সেই সময় পাড়ারই ৩ যুবক তার পথ আটকায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যেই ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এমনকি জামা কাপড় ধরেও অভিযুক্তরা টানামানি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় রীতিমত আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন ওই কিশোরী। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসে ওই কিশোরীর বাবা গণেশ মণ্ডল। ঘটনার প্রতিবাদ করলেই অভিযোগ তার উপর চড়াও হয় তিন দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। একটি মাঠে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
একাধিক ধারাতে মামলা রুজু
ঘটনার পরই শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। জানা যাচ্ছে, মদ্যপ অবস্থায় ওই যুবকরা প্রায় প্রতিদিনই ওই কিশোরীকে নানাভাবে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ তরুণীর। এই বিষয়ে গণেশবাবু বারবার পাড়ার ওই ছেলেদের সাবধান করে ছিল বলেও দাবি পরিবারের। কিন্তু কে কার কথা শুনত। এই অবস্থায় রোজই ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়ে টিউশনে নিয়ে যেত এবং বাড়িতে নিয়ে আসত। কিন্তু ঘটনার দিন দেরি হয়ে যাওয়াতে টিউশনে যেতে পারেননি ওই ব্যক্তি। মেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আসে। একাই ছিল সে। আর সেই সুযোগেই এই ঘটনা বলে দাবি করছেন স্থানীয় মানুষজনের। যদিও এই ঘটনায় কড়া স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। খুনের মামলার পাশাপাশি পকসো আইন সহ একাধিক ধারাতে মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, সমাজ বিরোধীদের একটা বড় অংশ এখন শাসকদলের ছত্রছায়াতে আছেন। সবাই এখন তৃণমূল। উন্নয়নে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। এই সমস্ত মানুষেরা মনে করছে সরকার তাঁদের কিছু করতে পারবে না। কারণ তাঁরা ভোটের সময় দলের হয়ে ময়দানে নামে। শাসকদলের একাধিক গোষ্ঠী বলেও কটাক্ষ বিজেপি নেতার। পুলিশের নিয়ন্ত্রণ এদের উপর নেই বলেও দাবি তাঁর। বামনেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ভয়ঙ্কর ঘটনা। কোথায় কোনও নিরাপত্তা নেই। রাজ্যে শাসন-পুলিশ কিছু নেই বলে দাবি বাম নেতার।