রাজনৈতিক লাভের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই ফাঁসিয়েছেন! বিস্ফোরক কংগ্রেস বিধায়ক
রাজনৈতিক লাভের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই তাঁদের ফাঁসিয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ জামতারার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারির। হাওড়া জেলা সংশোধনাগার থেকে শনিবার মুক্তি পান তিনি। আর সেখান থেকে বেরিয়েই কার্যত রাজ্য প
রাজনৈতিক লাভের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই তাঁদের ফাঁসিয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ জামতারার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারির। হাওড়া জেলা সংশোধনাগার থেকে শনিবার মুক্তি পান তিনি। আর সেখান থেকে বেরিয়েই কার্যত রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন বহিষ্কৃত ওই বিধায়ক। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
বিজেপির দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে কালিমালিপ্ত করতেই বিজেপির নাম আনা হচ্ছে। পালটা তৃণমূলের দাবি, সিআইডি তদন্ত করছে। শীঘ্রই সমস্ত তথ্য সামনে আসবে। তবে কেন সিআইডিকে সঠিক ভাবে তদন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন শাদকদলের। উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই হাওড়ার পাঁচলা মোড়ে ঝাড়খন্ডগামী একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা।
এই ঘটনায় পাঁচলা থানার পুলিশ তিন কংগ্রেস বিধায়ক সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তভার পাঁচলা থানা শুরু করে। যদিও পরে তা সিআইডি তদন্তভার নেয়। সিআইডি তাদের হেফাজতে নিয়ে বিধায়কদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গত ১৭ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক জামিন পান। শর্ত সাপেক্ষে সেই জামিন দেওয়া হয়। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কলকাতা ছেড়ে যেতে পারবেন না বিধায়করা। আর এরপরেই আজ শনিবার হাওড়া জেলা সংশোধনাগার থেকে জামতারার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি ছাড়া পান। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়েই কার্যত বোমা ফাটান।
WB | CM has trapped us wrongfully for political gains. The money recovered was ours. We have Congress blood in our veins, we can never join BJP. 3 MLAs can anyway not bring down a government: Jamtara MLA Irfan Ansari pic.twitter.com/LRQ0xgbwIc
— ANI (@ANI) August 20, 2022
তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য তাঁদের ফাঁসিয়েছেন। গাড়িতে যে টাকা ছিল তা তিন বিধায়কের। কোনও একজনের টাকা ছিল না। তাঁরা কলকাতা থেকে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন বলেও দাবি ওই বিধায়কের। শুধু তাই নয়, ধুমধাম করে ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী উৎসব যাতে পালন করা যায় সেই লক্ষ্যেই কেনাকাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ইরফান আরও বলেন তিনি নিজে হজ যাত্রা কমিটির চেয়ারম্যান। তাঁর রক্তে কংগ্রেস আছে। তিনি কখনও বিজেপিতে যোগদান করবেন না।
তিনি আরও বলেন ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তাও ঠিক নয়। তাঁর মতে, তিনজনের এত ক্ষমতা নেই যে একটা সরকার ফেলে দেবে। বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে তিন কংগ্রেস বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই ঘটনায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম জড়িয়েছে। তাঁর আঙ্গুলিহেলনেই সরকার ফেলার টাকা পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ সিআইডির। তবে এই মামলার তদন্তে নেমে দিল্লি, অসমে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে সিআইডি আধিকারিকদের।