আনিস মৃত্যু-কাণ্ড: রণক্ষেত্র আমতা থানা, ওসিকে গ্রেফতারের দাবি আন্দোলনকারীদের
আনিস-হত্যার প্রতিবাদে আমতা থানায় ধুন্ধুমার কান্ড। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে থানার মধ্যে ঢোকার চেষ্টা। পুলিশকে লক্ষ্য করে লাগাতার ইটবৃষ্টি। ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি।
আনিস-হত্যার প্রতিবাদে আমতা থানায় ধুন্ধুমার কান্ড। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে থানার মধ্যে ঢোকার চেষ্টা। পুলিশকে লক্ষ্য করে লাগাতার ইটবৃষ্টি। ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। যদিও পুলিশের তরফে অনেকটাই সংযত থাকার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ক্রমশ পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে থাকে।
কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বারবার মাইকে আবেদন করা হয়। এমনকি আনিস খানের বাবাকে বলতে শোনা যায়, আমরা পুলিশকে টার্গেট করতে এখানে আসেনি। সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন রাখেন। পাশাপাশি মাইকের মাধ্যমে জনতাকে শান্ত হতে বলেন ফুরফুরা শরিফের কাশেম সিদ্দিকিও।
ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় আমতা পুলিশ স্টেশনের সামনে। থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয় কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের তরফে। আর এই কর্মসূচি ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হয়। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে ফেলা হয়। আর এই অবস্থার মধ্যেই আনিসের পরিবার আমতা থানা পর্যন্ত শোক মিছিল বার করে। আর সেই মিছিলে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। কিন্তু সেই মিছিল থানার সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ওই মিছিলের সঙ্গেই যুক্ত হয় এসএফআই সহ আরও বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনও। যদিও পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরেই ফুরফুরা শরিফের কাশেম সিদ্দিকি বলেন, এই প্রতিবাদে কেউ রাজনৈতিক রঙ লাগাবেন না। আমরা সবাই মিলে আনিসের বিচার চাই। একই সঙ্গে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আমতা থানার ওসিকে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয় ওই মিছিল থেকেই।
শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানানো হয়। কাশেম সিদ্দিকি বলেন, আমরা রবিবার এসপি অফিস অভিযান করব। এরপরেও দোষীদের উদ্দেশ্যে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামিদিনে নবান্ন অভিযান হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে।
অন্যদিকে আনিস খানের হত্যার তদন্তের ব্যাপারে আরও একবার রাজ্যের উপরেই ভরসা রাখতে অনুরোধ করল রাজ্য পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে আনিস-হত্যার তদন্ত নিয়ে পর পর দু'টি টুইট করে রাজ্য পুলিশ।
সেই টুইটে আনিসের পরিজনদের কথা উল্লেখ করে তারা অনুরোধ করেছে, তাঁরা যেন রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল এসআইটি-র তদন্তের উপরেই ভরসা রাখেন।