চে-এর ছবি নয় আদর্শকে হৃদয়স্থ করুন, বাংলায় এসে বার্তা চে-কন্যা অ্যালাইদার
চে-এর ছবি বুকে নিয়ে ঘুরলেই হবে না। চে-এর আদর্শ মেনে চলতে হবে। বাংলায় এসে চে গেভারার মতাদর্শ মেনে চলার পরামর্শ দিলেন চে-কন্যা অ্যালাইদা গেভারা।
চে-এর ছবি বুকে নিয়ে ঘুরলেই হবে না। চে-এর আদর্শ মেনে চলতে হবে। বাংলায় এসে চে গেভারার মতাদর্শ মেনে চলার পরামর্শ দিলেন চে-কন্যা অ্যালাইদা গেভারা। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর শনিবার হুগলির উত্তরপাড়ায় গণ সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে।
এদিন তিনি বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে চে গেভারার আদর্শ বিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের মাতৃভাষায় গান গেয়ে শোনান। সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছেন প্রয়াত কমিউনিস্ট চে গেভারার কন্যা ও নাতনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবর্ধনার পর এদিন হুগলির উত্তরপাড়ায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয় তাঁকে নিয়ে। এদিন তিনি একাই এসছিলেন।
হুগলির উত্তরপাড়ার গণভভনে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শনিবার বালিখাল থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে আসা হয় গণভবনে। এদিন চে গেভারার মেয়েকে দেখার জন্য বহু বামপন্থী সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের উচ্ছ্বাস ছিল নজরে পড়ার মতো।
উত্তরপাড়া সংবর্ধনা দেওয়ার পর মঞ্চে দাঁড়িয়ে চে-কন্যা বলেন, তিনি এত মানুষের উৎসাহ দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন। এ দেশেও তাঁর বাবাকে যে এত মানুষ ভালোবাসেন, তা তিনি এখানে না এলে জানতেই পারতেন না। আপনারা আমার বাবার ছবি বুকে নিয়ে চলছেন। আমি বলব, ছবির সঙ্গে তাঁর আদর্শকে মেনে চলুন। তাঁর মতাদর্শ ছড়িয়ে দিন সবার মধ্যে।
এদিন মানুষের উৎসাহ দেখে চে কন্যা বলেন নিজের মাতৃভাষা স্প্যানিসে গান গেলে শোনান। ভারত সফরে এসে তিনি সবার প্রথম গিয়েছিলেন কেরলে। তারপর তামিলনাড়ু হয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছেছেন। সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা এবং ন্যাশনাল কমিটি ফল সলিডারিটি উইথ কিউবার ডাকেই তাঁরা ভারতে সফরে এসেছেন। তাঁদেরকে ঘিরে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে।
চে কন্যা ভারত-কিউবার মৈ্ত্রী নিয়েও একাধিক অনুষ্ঠানে আলোচনা করেছেন চে কন্যা। তিনি বার্তা দিয়েছেন, জীবনযুদ্ধে হার মানলে চলবে না। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হবে। জয় একদিন হবেই। তিনি বিভিন্ন জনমুখী বিকল্প নীতি ও সাম্রাজ্যবাগ বিরোধ গণ উদ্যোগের কথাও বলেন তাঁর ভাষণে।