রাত পোহালেই বিজেপির নবান্ন অভিযান! তৎপর প্রশাসনও
রাত পোহালেই বিজেপির নবান্ন অভিযান! তৎপর প্রশাসনও
রাত পোহালেই নবান্ন অভিযান। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি'র মধ্যে চূড়ান্ত পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। আগেই গেরিলা কায়দায় হবে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিজেপি। যাতে টলে যাবে নবান্ন। অন্যদিকে তৎপর পুলিশ-প্রশাসনও। বিজেপির ডাকে নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অশান্তি না হয় সে দিকে প্রশাসন কড়া নজর রেখেছে।
জানা গিয়েছে, এই অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশ মহলেও সাজো সাজো রব। শরৎ সদনে পুলিশের কর্তারা দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। অশান্তি এড়াতে ও বিজেপিকে রুখতে রীতি মতো আগাম তৈরি পুলিশ - প্রশাসন।
কলকাতা ও হাওড়ার পাঁচ জায়গা থেকে মিছিল বেরোবে৷ কলকাতারই তিন জায়গা থেকে মিছিল যাওয়ার কথা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, পিটিএসের পাশাপাশি মিছিল যাবে খিদিরপুর মাজার থেকেও৷ হাওড়ার দুটি জায়গার থেকেও মিছিল যাওয়ার কথা৷ রেল মিউজিয়াম ও সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল বেরোবে৷
বৃহস্পতিবার কাজের দিন যানজট এড়াতে তৎপর পুলিশ প্রশাসনও৷ কলকাতা-হাওড়ার বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছে৷ বিভিন্ন রাস্তায় চলবে পুলিশি টহলদারিও৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে তৈরি র্যাফ। রাখা হচ্ছে জলকামান, কমব্যাট ফোর্স এবং কুইক রেসপন্স টিমও।
পাশাপাশি, নবান্ন অভিযানের আগেরদিন নবান্ন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ। বুধবার বিকেল থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেট করা হয়েছে। সাঁতরাগাছি পয়েন্ট ছাড়া ও হাওড়ার ফোরসোর রোডে তৈরী হয়েছে ব্যারিকেট। তবে নবান্ন অভিযানে হাওড়া পয়েন্ট থেকেই বেশী লোক জমায়েত হবে বলে অনুমান করে জোর দেওয়া হয়েছে হাওড়া পয়েন্ট গুলোতে।
বিশেষত হাওড়া গ্রামীণ এলাকা থেকে ভালো জমায়েত হবে এবং এই জমায়েতে একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থাকবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থাকছে কলকাতা পুলিশের ২০০০ কর্মী এবং হাওড়া পুলিশের ১৫০০ কর্মী৷ অন্যদিকে বিজেপি কর্মীরা ইতিমধ্যেই হাওড়া শহরে আসতে শুরু করেছে। এখন দেখার কাল কি হয়।