মানব সেবাই বড় ধর্ম! করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সেফ হোম চালু করল বেলুড় মঠ
করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে এবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সেফ হোম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ১ জুন থেকে তা চালু করা হবে। কোভিড মোকাবেলায় সেফ হোম চালু করা
করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে এবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সেফ হোম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ১ জুন থেকে তা চালু করা হবে। কোভিড মোকাবেলায় সেফ হোম চালু করার কথা বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ আগেই ঘোষণা করেছিল।
আগামী পয়লা জুন মঙ্গলবার থেকে তা চালু হবে। সেই কাজের প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। শনিবার সকালে মঠের নিয়ম মেনে শ্রীশ্রীঠাকুর এবং শ্রীশ্রীমাকে পূজা নিবেদন করে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা হল।
রোগী আসা শুরু হবে পয়লা জুন মঙ্গলবার থেকে। শনিবার বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দজি মহারাজ এবং অন্যান্য সন্ন্যাসীরা পুরো ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
সব মিলিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নির্মিত এই সেফ হোম বেলুড় এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে এক বিশাল প্রাপ্তি। এখানে থাকবে অক্সিজেনের সুব্যবস্থাও।
আগেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত জানানো হয়েছে রামকৃষ্ণ মঠ সারদাপীঠের তরফ থেকে। মঠের পলিটেকনিক কলেজ ক্যাম্পাসে এই সেফ হোম চালু হবে। ক্লাস রুম, প্রার্থনা কক্ষকে এই কাজে ব্যবহার করা হবে। সেমিনার হলকেও এই কাজে ব্যবহার করা হবে।আপাতত ৬ মাসের জন্য এই সেফ হোম করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো অবস্থায় না থাকা করোনা রোগীদের জন্যই এই সেফ হোম চালু করতে চলেছে রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠ। শিল্পমন্দির পলিটেকনিক ক্যাম্পাসের ভিতরে হবে এই সেফ হোম।
আগে করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন, আবার তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা করোনায় গুরুতর অসুস্থ নয় এমন রোগীদের জন্য এই সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সেফ হোমটি বেলুড়, বালি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৫০ বেডের এই সেফ হোমে থাকবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা। রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছয় মাসের জন্য চালু রাখা হবে। মঠের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বহু করোনা রোগীকে চিকিৎসকেরা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দিয়ে থাকেন।
তাঁদের মধ্যে অনেকই আছেন যাদের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই, পরিকাঠামোও নেই। তাঁরা একটি মাত্র ছোট ঘরে অনেকে থাকেন। এতে পরিবারের বাকি সদস্যদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।
তাঁদের ক্ষেত্রে এই সেফ হোম প্রয়োজনীয় এবং তাদের সমস্যা অনেকটাই সমাধান করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেফ হোমে ভর্তি থাকাকালীন কেউ যদি গুরুতর অসুস্থ হন তাঁকে সরকারি কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।